পৃথিবীর ভৌগলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ নিয়ে কথা বললে ভারত ও পাকিস্তানের নামই সবার আগে আসে। দুই দেশের প্রতিটি কাঠামোও যেন একে অপরের প্রতিপক্ষ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে তাদের বিরোধ চিরায়ত। সেই ধারা থেকে বের হতে পারেনি জাতির বিবেক গণমাধ্যমও।
সম্প্রতি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে দুই দেশের বিরোধ ও সম্পর্কে তিক্ততা চরমে। আয়োজক স্বত্ব অনুসারে, এবার আসর আয়োজন করবে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানে যেয়ে কোনোভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে রাজি নয় ভারত। তাদের দাবি, হাইব্রিড মডেলে ট্রফি আয়োজন হোক। মানে, নিজেদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানের বাইরে অন্য দেশে চায় ভারত।
নাছোড়বান্দা পাকিস্তান কোনোভাবেই ভারতের প্রস্তাব মানতে রাজি নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চায়, অন্য দেশ খেলতে রাজি হলে, তারা কেন খেলবে না। বিষয়টি বেশ কয়েকদিন ধরে দুই দলের গণমাধ্যমেরও বড় এজেন্ডা।
গেল ১১ নভেম্বর সরকারের অনুমতি না পাওয়া সাপেক্ষে পাকিস্তানে যেতে বিসিসিআই অস্বীকৃতি জানালে আলোচনা তীব্রতর হয়। এ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে বেশকিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়। পেছনে পড়ে থাকেনি পাকিস্তান।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে রাজনীতি করতে চায়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান একটি মন্ত্রীও বটে। তিনি খেলার মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান। পাকিস্তান নিজেদের সিদ্ধান্ত অটল থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরিয়ে নেওয়া হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এছাড়া পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য আইসিসি বেশি পীড়াপীড়ি করতে ভারত টুর্নামেন্ট বর্জন করবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয় প্রতিবেদনে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের এসব দাবিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’।
ক্রিকেট পাকিস্তানের দাবি, পিসিবিকে বেকায়দায় ফেলতে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। আজ শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে তিন দিন আগে আইসিসির কাছে চিঠি পাঠানোর কথা জানায় তারা। তবে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা উত্তর না কিছুটা হতাশ পাকিস্তান। সঙ্গে রয়েছে ক্ষোভও। বিষয়টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বরাবরের মতোই শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার।
এমএইচ/