ভিটিউটর-মাইক্রোসফট ন্যাশনাল জিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তিন শিক্ষার্থী

3 months ago 24

বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন (এমওএস) তিন শিক্ষার্থী যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। ভিটিউটর জাতীয় পর্যায়ে দেশের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী এই আয়োজনে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম, এক্সেল ক্যাটাগারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রফেশনালসের শিক্ষার্থী সামিন আল ফাত্তাহ এবং পাওয়ার পয়েন্টে আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তাসিন আহমেদ। জুলাই মাসে অরল্যান্ডো রাজ্যের ফ্লোরিডায় সার্টিপোর্ট আয়োজিত মাইক্রোসফট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা।

গতকাল (২৪ মে) শনিবার রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে ল্যাপটপ এবং প্রতিযোগিতার পুরস্কারমূল্য যুক্তরাষ্ট্র সফরসহ ২০ লাখ টাকার ডামি চেক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম হওয়ার জন্য ৮ হাজার ডলার, দ্বিতীয় স্থান ৪ হাজার ডলার এবং তৃতীয় স্থান ২ হাজার ডলারের ডামি চেক গ্রহণ করেন তারা।

প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কাজী মোশতাক জহির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ভিসি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিউপি চেয়ারম্যান উইং কমান্ডার ড. মাহমুদুল হাসান, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান, বারাকা শিকল বাহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈম আহমেদ চৌধুরী, এআই সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী আরিফুল ইসলাম, ভিটিউটরের কো-ফাউন্ডার ও চিফ লার্নিং অফিসার কাজী শামীম এবং কো-ফাউন্ডার ও চিফ অ্যাকাডেমিক অফিসার মুত্তাকী ফারুক।

এর আগে অলিম্পিয়াডের আদলে প্রথমবারের মতো গত ১০ মে থেকে রাজধানীর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ক্যাটগরিতে অনুষ্ঠিত হয় মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ (এমওএস) প্রতিযোগিতা। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস প্রফেশনালস, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে।

ভিটিউটর ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার সিফাতের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কাজী মোশতাক জহির বলেন, ‘একসময় জনসংখ্যাকে বোঝা মনে করা হতো। তবে আজকের বাস্তবাতায় জনসংখ্যাই জনশক্তি। তরুণদের জনশক্তিতে পরিণত করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে দক্ষতা উন্নয়নের বিভিন্ন আয়োজনে শরিক থাকছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতায় আজকের বিজয়ীরাই বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের পতাকা মেলে ধরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বাংলার ইতিহাসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপস্থিত তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তরুণদের সাহসী হতে হবে, চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি কাজের লক্ষ্য হতে হবে মানবকল্যাণমুখী।’ কাজী শামীম বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি সাধারণ পরীক্ষা নয়, এটি বাংলাদেশের আগামীর কাণ্ডারি তরুণদের হাত ধরে দেশকে প্রযুক্তির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার অব্যহত প্রচেষ্টা।’ মুত্তাকী ফারুক বলেন, ‘দেশ ও দেশের তরুণ প্রজন্মকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে এমন আয়োজন আমরা প্রতি বছর করতে চাই।’

এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৩শ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইউনিভার্সিটি রাউন্ড এবং জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী মোট ৫৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায়, বিশ্ববিদ্যালয় রাউন্ডে সারা দেশের মোট ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ঢাকার ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ ৯৭ জনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে ৮৯ জন বিজয়ী পেয়েছেন মাইক্রোসফট অফিস স্পেশালিস্ট সনদ।

আরএমডি

Read Entire Article