নারায়ণগঞ্জ শহরের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভুল চিকিৎসায় হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর করেন মৃতের স্বজনরা।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী মিল্লাত হোসেনের বুকে ব্যথা থাকায় তাকে সোমবার সকালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে স্বজনরা। এসময় জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ছিলেন ডা. নাজমুল। তবে ডা. নাজমুলের পরামর্শ ছাড়াই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নুরুন্নবী মিল্লাতকে ইনজেকশন পুশ করেন।
আরও পড়ুন
স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্যের কমিটির আহ্বায়কসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
কুমিল্লায় মাজারে হামলার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার
গাজীপুরে উদ্ধার মুন্সিগঞ্জ শ্রমিক লীগের সভাপতির মরদেহ
এতে বৃদ্ধ মিল্লাতের ব্যথা না কমে উল্টো বৃদ্ধি পেলে তার ইসিজি পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তখন ওই মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। মিল্লাত হোসেনের পরিবার অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত শহরের বালুরমাঠ এলাকার ইসলাম হার্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই খবর পেয়ে স্বজনরা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন। এসময় মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট নুরন্নবী হাসপাতাল থেকে বের হতে গেলে বাহিরে থাকা রোগীর ক্ষুব্ধ স্বজনরা তাকে মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে আবারো জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত মিল্লাত হোসেনের ভাতিজা বলেন, আমার চাচাকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নুরন্নবী চিকিৎসক না হলেও চাচার চিকিৎসা করেছে। তার ভুল চিকিৎসার কারণেই চাচা মারা গেছে।
মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট তাপস জানান, সকালে বৃদ্ধ লোকটি পড়ে গিয়ে পিঠে ব্যথা পেয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তাকে তখন পেইন কিলার ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। এক দেড় ঘণ্টা পরে তার বুকে ব্যথা হয়। তখন তার ইসিজিতে বুকে ব্যথা থাকায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
জরুরি বিভাগের দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, অনেক সময় রোগীর চাপ থাকলে জ্বর ঠান্ডার জন্য মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা প্যারাসিটামলের ওষুধ দিয়ে থাকে। তবে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা রোগীদের চিকিৎসা দিলে সেটা ভুল।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/জিকেএস