‘লাইজু নামের এক মেয়ে হারিয়ে গেছে। মেয়েটি ঠিক মতো কথা বলতে পারে না। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি তার সন্ধান পান তাহলে কাবিলপুর বাজারে চিশতী ফকিরের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় জন্য অনুরোধ করা হলো’- মাইকে এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে গল্পের শুরু। এরপর এই লাইজুকে ঘিরে কাবিলপুর গ্রামে গড়ায় অনেক জল।
গ্রামের এমনই এক জটিল গল্পে নির্মিত হলো ঈদের নাটক ‘লাইজু’। সিএমভি’র ব্যানারে এ কে পরাগের গল্প, চিত্রনাট্য ও নির্মাণে এতে লাইজু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান। লুকে-গেটাপে নিজেকে এই চরিত্রে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
এছাড়াও তার সঙ্গে আরও প্রধান দুটি চরিত্রে দেখা যাবে মুশফিক আর ফারহান ও শরাফ আহমেদ জীবনকে। সদ্য নির্মিত এই বিশেষ নাটকের সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন ভাস্কর জনি।
নির্মাতা জানান, গল্পের এক পর্যায়ে ঠিকই ফিরে আসে লাইজু। কিন্তু তাকে কেউ ভূত মনে করে। কেউ পাগল ভাবে। চলতে থাকে কাবিলপুর গ্রামের লাইজুকে ঘিরে গ্রাম্য রাজনীতি।
নির্মাতার মতে, ‘ঈদে অসংখ্য নাটক নির্মাণ হয় বটে। যার বেশিরভাগই কমেডি ঘরানার। তবে এবার আমি চেষ্টা করেছি একটু সিরিযাস গল্প বলতে। যেখানে গ্রামীন জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা যায়। এরমধ্যে মজার ঘটনাও রয়েছে আবার সিরিয়াস প্রেমের রসায়নও থাকছে। মোটমিলিয়ে আমি মনে করি ঈদে দর্শকদের জন্য এটা দারুণ একটা কনটেন্ট।’
‘লাইজু’র প্রযোজক ও পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে ‘লাইজু’সহ প্রায় ২০টি কনটেন্ট উপহার দিচ্ছেন দর্শকদের। যার সব ক’টি ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হবে চাঁদরাত থেকে, সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে।
এলআইএ/জেআইএম