ভোট দিয়ে শিক্ষার্থী বললেন, ‘ঈদের আনন্দ লাগছে’

2 days ago 6
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো। ভোট দিয়ে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ভোটাররা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘ সারি। এই ভবনে ভোট দেবেন মোট ৭ হাজার ৭৩ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে প্রীতিলতা হলের ২ হাজার ৫৫৫ জন, বিজয় ২৪ হলের ২ হাজার ৬০৪, শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের ১ হাজার ৭৬০ ও শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১৫৪ জন। এসময় কথা হয় বিজয় ২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাইরুজের সঙ্গে। তিনি জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছেন। অনুভূতি প্রকাশ করে কালবেলাকে বলেন, ‘আমি জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছি। খুবই আনন্দ লাগছে। ৩৫ বছর পর হওয়া এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে ইতিহাসেরও সাক্ষী হলাম। আশা করি এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সচল হবে।’ সকাল ১০টায় প্রকৌশল অনুষদ ভবনেও দেখা যায় একই চিত্র। এই ভবনে ভোট দিবেন সোহরাওয়ার্দী হলের ৪ হাজার ৩৬ জন। গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। তবে তারা এতে বিরক্ত বোধ করছেন না। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরবি বিভাগের ইরফানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অনেক গরম লাগছে তবুও এতে আমরা অসন্তুষ্ট না। ঈদের মতোই আনন্দ লাগছে। এটা আমার জীবনের প্রথম ভোট।’  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন হচ্ছে ৩৫ বছর পর। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩ প্যানেল; ২৩২ পদে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে। এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। 
Read Entire Article