প্রয়াত সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ আসামের ‘জনতার তারকা’ ছিলেন তা তার মৃত্যুর পর আরও একবার প্রমাণিত হলো। তিনি সিঙ্গাপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মারা যান। গতকাল সোমবার এ তারকার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর এ শিল্পীর মরদেহ আসামে পৌঁছতেই রাস্তায় জনতার ঢল নামে। বিশ্বের মোট চারজন ব্যক্তির শেষযাত্রায় এমন জনসমুদ্র দেখা গেছে, জুবিন তাদের মধ্যে অন্যতম। মৃত্যুর পর বিশ্বরেকর্ড গড়লেন জুবিন।
প্রিয় তারকাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে রোববার থেকে আসামের পথে নেমেছে লাখ লাখ মানুষ। সেই অনুরাগীর সংখ্যাতেই নজির সৃষ্টি করেছে জ়ুবিনের অনন্তযাত্রা। তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন, দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস, তিন নম্বরে রয়েছে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়। চতুর্থ নম্বরে ভারতের জুবিন।
বিগত তিন দিন ধরে কার্যত আসাম অচল। মঙ্গলবার জুবিনের শেষকৃত্যের যাত্রার জন্য গুয়াহাটির জাতীয় সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল। আর গায়কের এই শেষকৃত্যের এহেন জনসমুদ্রই বিশ্বের সর্ববৃহৎ চতুর্থ জমায়েত হিসেবে নাম লেখাল ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডে’।
তারা বলছে, প্রিয় গায়ককে শেষবিদায় জানাতে রাস্তায় নেমেছিল প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। ভারতের বুকে এর আগে কোনো তারকার জন্য এমন বিপুলসংখ্যায় মানুষ নেমেছে বলে নজির নেই। যদিও উত্তমকুমারের মৃত্যুর সময় কলকাতার রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণের সময়েও এমনই জনসমুদ্র দেখেছিল ভারতবাসী। তবে সেই পরিসংখ্যান জানা নেই।
জুবিন গার্গের আকস্মিত মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারছেন না তার অনুরাগীরা। আসামে এখনো শোকের আবহ বিরাজমান। প্রয়াত গায়ককে শেষ দেখা দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল গায়কের কাহিলপাড়ার বাড়িতে। গায়কের স্মৃতিতে তার পায়ের ছাপ তুলে রাখলেন শিল্পী দিগন্ত ভারতী।
আরও পড়ুন:
সিঙ্গাপুর থেকে এলো জুবিনের মৃত্যুসনদ
জুবিনকে নিয়ে কটূক্তি করায় বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্র
সিঙ্গাপুরের নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার কথা ছিল জুবিনের। কিন্তু তার আগে ১৯ তারিখ তিনি সুরের যাত্রা ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিলেন। জানা গেছে, জুবিনের মৃগী রোগের সমস্যা ছিল। পানির তলদেশে স্কুবা ডাইভিং করতে নেমে তা উসকে ওঠায় প্রাণ হারান তিনি। তবে আসল কারণ জানতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
এমএমএফ/এলআইএ/এএসএম