মাদারীপুরের কালকিনিতে শিখা ওরফে সীমা বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের উত্তর আন্ডারচর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারীর মেয়ে শিখা ওরফে সীমা বেগমের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ক্ষুদ্রচর গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ছেলে রায়হান হাওলাদারের প্রায় ৮ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ হতো। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কয়েকবার মীমাংসা করেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় লোকজন স্বামীর ঘরে ওই গৃহবধূর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। এজন্য এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
নিহত গৃহবধূর বাবা জাহাঙ্গীর ব্যাপারী বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী রায়হান হত্যা করেছে। আমরা তার নামে মামলা করবো। এই ঘটনায় তাদের বিচার চাই।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম সোহেল রানা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এমএন/এএসএম