রাজধানীর আফতাবনগরে এক বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ শিশু তানজিলা মারা গেছে। চার বছর বয়সী এ শিশুর আরও দুই বোন এবং বাবা-মা দগ্ধ অবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
রোববার (১৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এর আগে গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা আক্তার (৩৫), তাদের সন্তান তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)। এদের মধ্যে তানজিলা আজ মারা গেছে।
- আরও পড়ুন
- গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
- স্থলপথে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মো. শরীফ। গতকাল শনিবার সকালে জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার এক ভবনে নিচতলায় বসবাস করেন ভুক্তভোগীরা। রাতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন একজন দিনমজুর। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। পরিবার নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করেন তিনি।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আফতাবনগর থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে আসেন। তাদের মধ্যে আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানজিলা নামের এক শিশু মারা গেছে। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ আরও চারজন এখন চিকিৎসাধীন। মৃত শিশুটির বাবা তোফাজ্জল হোসেনের ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মানসুরা ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া তাদের কন্যা মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
কাজী আল-আমিন/কেএসআর/জিকেএস