ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিপরীত মেরুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ট্যাংক পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। দুই দেশের মধ্যকার এ বিরোধ আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে পরোক্ষ বিবাদে জড়িয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমারা ইউক্রেন যুদ্ধে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি মাল্টায় অরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) বার্ষিক সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন।
ওএসসিইর মন্ত্রিপর্যায়ের এ বৈঠকে ল্যাভরভ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্নায়ুযুদ্ধ পুনরুজ্জীবিত করার এবং রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের উসকানি দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ন্যাটোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে অসম্মানিত হওয়ার পর তাদের একটি শত্রুর প্রয়োজন ছিল। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর এটি ছিল তাদের প্রথম শিকার।
তিনি বলেন, এর ফল হলো কোল্ড ওয়্যার বা শীতল যুদ্ধের পুনর্জন্ম। তবে এখন এটি উত্তপ্ত পর্যায়ে আসার অনেক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন এবং অন্যরা জবাব দেওয়ার আগেই ল্যাভরভ ওয়াক আউট করেন।
ল্যাভরভ এমন অভিযোগ করলেও এ অঞ্চলে সংঘাতের জন্য পাল্টা রাশিয়ার ওপর দোষ চাপিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় তিনি ইউরোপে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য মধ্যম-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য থ্রেশহোল্ড কম করার জন্য রাশিয়ার পদক্ষেপ এবং ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর ক্রমাগত আক্রমণের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ল্যাভরভ প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের নিজস্ব পছন্দ করার সার্বভৌম অধিকারের কথা বলেছেন। তবে এটিও ঠিক যে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে তাদের জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। মস্কোর এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং তাদের এটি ঠিক করে দেওয়া উচিত নয়।
কোল্ড ওয়্যারের মধ্যে ৫৭টি জাতির সমন্বয়ে এ জোট গঠন করা হয়েছিল। তবে রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের পর এটি মূলত পঙ্গু হয়ে গেছে।