মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের প্রাণকেন্দ্র বুকিট বিন্তাং ও আইটি প্লাজা হিসেবে পরিচিত লোয়েট প্লাজায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১১ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় অন্যান্য দেশের আরও ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় এ অভিযান শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। এ সময় দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের আটক করে।
সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশের ১১ জন, পাকিস্তানের ১৭ জন এবং ভারতের ৩ জন নাগরিক রয়েছেন; যাদের বয়স যথাক্রমে ২৩ থেকে ৪৬-এর মধ্যে।
কুয়ালালামপুরের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সাউপি ওয়ান ইউসুফ বলেন, এ অভিযানে মোট ৩৯ জন বিদেশি কর্মীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। শেষে ৩২ জন অবৈধ ও অভিবাসী কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের ১১, পাকিস্তানের ১৭ ও ভারতের ৩ নাগরিক রয়েছেন; যাদের বয়স যথাক্রমে ২৩ থেকে ৪৬-এর মধ্যে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার অভিবাসীদের জেরা করে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, তাদের মধ্যে অনেকে অধ্যয়নরত ছাত্র; যারা এক হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে এখানে পার্ট টাইম চাকরি করেন। এ ছাড়া এক হাজার রিঙ্গিতের পাশাপাশি বিক্রির ওপর ৫০ শতাংশ কমিশন পান তারা।
ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয় এই প্লাজা। আমাদের কাছে তথ্য আছে, প্লাজায় ছোট ছোট মোবাইলের দোকানে চাকরি এবং বিভিন্ন আইটি সেক্টরের দোকান দিচ্ছেন বিদেশি কর্মীরা। বিদেশি কর্মীরা স্থানীয় আইন লঙ্ঘন করে যাতে ব্যবসা করতে না পারেন, সে জন্য বিশেষ নজরদারিতে রাখা হবে স্থানটি।
তিনি জানান, ৫৬(১) ডি, ধারা ৬(১) সি এবং ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর রেগুলেশন ৩৯ (বি) তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।