রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের সাতজনকে কুপিয়ে আহত করায় ঘটনায় রমনা থানায় করা হত্যাচেষ্টার মামলায় মো. পারভেজ নামের এক যুবকের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় জয়নাল আবেদিন নামের আরেকজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান নাহিদ পারভেজের পাঁচদিনের রিমান্ড ও জয়নাল আবেদিনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত পারভেজের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করনে। অপর দিকে জয়নালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৭ মিনিটের দিকে মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ের সামনে দুই ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন। এসময় চাপাতি, ছুরি ও রড নিয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের সঙ্গে আসা কয়েকজন হাততালি দিয়ে উল্লাস করছিলেন। তাঁরা সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে সোহাগ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে ঢুকে এক কর্মীকে মারধর ও ড্রয়ার থেকে টাকার বান্ডিল নিতে দেখা যায় হামলাকারীদের।
এ ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন। মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেনলসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১৮-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে এজাহারভুক্ত আকাশ ও রুমন ধূমপান করছিলেন। সোহাগ পরিবহনের তিন কর্মচারী তাদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে প্রধান আসামি বিল্লালের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোহাগ পরিবহনের মালিকের বাড়ির গ্যারেজের সামনের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের কাঁচ ভেঙে ফেলেন। এ সময় সোহাগ কোম্পানির মালিকের ভাই ও কোম্পানির পরিচালক আলী হাসান তালুকদার, তার গাড়িচালক মাসুদ, কোম্পানির কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা সোহাগ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রির ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করেন।
এমআইএন/এমএমকে/এএসএম