মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড, রিমান্ড শেষে কারাগারে ৪ অভিযুক্ত

1 month ago 7
কুমিল্লা মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতন এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা আমলি আদালত-১১-এর বিচারক মমিনুল হকের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। চার আসামি হলেন—উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে রমজান (২৩), আব্দুল হান্নানের ছেলে মোহাম্মদ আলী সুমন (২২), মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ (২৪) ও তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক (২২)। সুমন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ধর্ষণ মামলায় একমাত্র অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার হওয়া ফজর আলীর ছোট ভাই শাহ পরান গ্রেপ্তার করা হয়। তার নেতৃত্বেই আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বলেন, ঘটনার পর আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ওই পাঁচজন ছাড়া আর গ্রেপ্তার নেই। অন্যদিকে, ধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী এখনো কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এসআই রুহুল আমিন বলেন, শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিন দিন রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখন প্রকাশ করা হচ্ছে না। সময়মতো বিস্তারিত জানানো হবে। রুহুল আমিন বলেন, আদালতে চারজনের মধ্যে দুজনের জবানবন্দি দেওয়ার কথা জানালেও পরে তারা তা দেননি। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান। গত ২৬ জুন রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে (২৩) পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। সে সময় একদল লোক ঘরে ঢুকে ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত ফজর আলীর ওপর নির্যাতন চালায়। ভিডিও ধারণ করে পরে তা ছড়িয়ে দেয়।  ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত ওই চার যুবক ও শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ একাধিক আইনে রুজু করা হয়েছে।
Read Entire Article