অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীদের গ্রেফতার ও দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অভিযান কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচএস) জানায়, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে ‘অপরাধে জড়িত বিদেশিদের’ ওপর এ গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা আরও জানায়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া যৌন অপরাধী, শিশু নিপীড়নকারী, হত্যাকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও গ্যাং সদস্যদেরর গ্রেফতার করা হবে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি ডিএইচএসের মুখপাত্র।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিপি বিভাগ এবং তাদের অভিবাসন ও শুল্ক কার্যকরবিষয়ক শাখা (আইসিই) এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘প্যাট্রিয়ট ২.০’। গত মে মাসে পরিচালিত অভিযানের নাম বদলে নতুন অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযানে ১ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
একটি সূত্র নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছে, ‘প্যাট্রিয়ট ২.০’ অভিযানের আওতায় মূলত সেসব অভিবাসীকে নিশানা করা হচ্ছে, যারা স্থানীয় কারাগারে হেফাজতে থাকা অবস্থায় ছাড়া পেয়েছেন। অথচ আইসিই এজেন্টরা সেখান থেকে তাদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল।
এ গ্রেফতার অভিযানে ঠিক কতজন ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিকাগোতে অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরুর প্রস্তুতির মধ্যেই ম্যাসাচুসেটসে ধরপাকড় চালানো হচ্ছে।
এদিকে, বোস্টনের মেয়র মিশেল উ’র অভিবাসীবিষয়ক নীতির সমালোচনা করেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্র। এ নীতির আওতায় ওই এলাকায় অভিবাসন আইন কার্যকরের ক্ষেত্রে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সীমাবদ্ধতা থাকে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেখানে ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করে না।
এক বিবৃতিতে ডিএইচএসের ওই মুখপাত্র বলেন, মেয়র উ যে ধরনের অভিবাসীবিষয়ক নীতি আরোপ করে রেখেছেন, সেগুলো শুধু অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ই দেয় না, বরং জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ