ময়মনসিংহে কমেছে সবজি ও মাংসের দাম

7 hours ago 6

ময়মনসিংহের বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে কমেছে ব্রয়লার মুরগিসহ গরু-খাসির মাংসের দাম। দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে শহরতলির ঐতিহ্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজিতে ভরপুর বাজার। বিক্রেতারা ডালা ভর্তি করে সাজিয়ে রেখেছেন প্রচুর সবজি। ক্রেতা আসছেন, দামাদামি করে সবজি কিনছেন।

ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে কমেছে শসার দাম। শসা গত সপ্তাহ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন কমে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা। এই বাজারে বর্তমানে কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা কমেছে করলা, চায়না গাজর, গোল বেগুন, ঝিঙে, মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়শ ও টমেটোর দাম। বর্তমানে করলা ৯০, চায়না গাজর ১৩০, মোটা গোল বেগুন ১১০, ঝিঙে ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঢ্যাঁড়ম ৭০ ও টমেটো ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত অবস্থায় শিম ১৯০, কাকরোল ৮০, চিকন বেগুন ৭০, কাঁচা পেঁপে ২৫, ধুন্দল ৬০, পটোল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কচুরমুখী ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত অবস্থায় লাউ ৬০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৪০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলভার কার্প ২৪০-৩০০, তেলাপিয়া ২২০-৩০০, শোল ৬১০-৮৯০, ট্যাংরা ৫৫০-৮৭০, টাকি ৪৩০-৫৮০, কাতলা ৩৬০-৪২০, পাঙাশ ২২০-২৫০, রুই ৩৪০-৪৪০, কালবাউশ ৩৫০-৪১০, মৃগেল ৩০০-৩৫০, শিং ৩৬০-৬৫০, কৈ ২৭০-৩৬০ ও পাবদা ৪০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ময়মনসিংহে কমেছে সবজি ও মাংসের দাম

কমেছে ব্রয়লার মুরগি, কক ও গরু-খাসির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা থেকে কমে ১৬০, কক মুরগি ৩১০ টাকা থেকে কমে ৩০০, গরুর মাংস ৮০০ টাকা থেকে কমে ৭৮০ ও খাসির মাংস ১২০০ টাকা থেকে কমে ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম ৪০ টাকা হালি, দেশি মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি কেনার সময় কথা হয় ফরিদ মিয়া নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে সবজির দাম কমছে। আরও কমলে বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

মাছের ক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, ‘মাছের দামের ঊর্ধ্বগতি অনেকদিন ধরে। বাজার মনিটরিং দুর্বল থাকায় দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।’

ব্রয়লার মুরগি কিনে বাড়ি ফিরছিলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে মেহমান আসছে। এজন্য চার কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনেছি। কেজিতে ১০ টাকা কমে কিনতে পেরেছি। তবে দাম আরও কমানো প্রয়োজন।’

মুরগি বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে এরইমধ্যে পাইকারিভাবে দাম বাড়ার আভাস পেয়েছি। পাইকারিভাবে দাম বাড়লে ক্রেতা পর্যায়ে আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হবো।’

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘যথাযথভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে অনেক অসাধু বিক্রেতা কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এমএস

Read Entire Article