যানজট নিরসনে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ করেছি, একটা ব্যবস্থাপনায় আনারও অনুরোধ জানিয়েছি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডিএমপির অনেক সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। রাস্তাঘাট সীমিত। আদর্শ শহরে রাস্তা থাকা উচিত ২৫ শতাংশ, আমাদের ৭ শতাংশ। রাস্তায় মোটরাইজ ভেহিকেল, ম্যানুয়ালি অপেরেটেড রিকশা ইদানীং ব্যাপকহারে বেড়েছে। গত সরকারের সময় অটোরিকশাকে অনুমতি দেওয়ার কারণে হু হু করে বাড়ছে। রোধ করা না গেলে অচিরেই এরূপ একটি শহর যেখানে বাসা থেকে বের হলেই মুভমেন্টের সুযোগ থাকবে না। অটোরিকশার আকার ম্যানুয়ালের চেয়ে দ্বিগুণ। সীমিত স্পেস অটোরিকশা দখল করে নেবে, মানুষের মুভমেন্ট একদম বন্ধ হয়ে যাবে। সরকারের সঙ্গে আলাপ করেছি, একটি ব্যবস্থাপনায় আনার জন্য অনুরোধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায়। হকাররা ফুটপাত, বাইরের রাস্তা দখল করে ব্যবহার করছে। এরূপ অবস্থায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। ট্রাফিকের ওপরে যথেষ্ট মনোনিবেশ করেছি। সহযোগিতা ছাড়া কোনো উন্নতি হবে না। ঢাকাবাসীর কাছে বিনীতভাবে সহযোগিতা কামনা করি।
এ ছাড়া তিনি বলেন, ট্রাফিকের অব্যবস্থাপনা থেকে উত্তরণের জন্য যারা রাস্তা ব্যবহার করেন, তাদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। স্কুলের সময় ব্যাপক যানজট হয়। যদি বাসা ভাড়া হয়, অন্যত্র বাসা হলে প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া নেন। ওয়াকিং ডিসটেন্স। একইভাবে কর্মক্ষেত্র, প্রাইভেট হলে বাসার কাছে আনতে পারেন কি না। অনেকের গাড়ি ব্যবহার সীমিত হয়ে যাবে। হেঁটে যেতে পারবেন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহযোগিতা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন রাখবে।
তা ছাড়া তিনি বলেন, ঢাকার একটি মোটরবাইকে একটি ফ্যামিলি যাতায়াত করেন। এরূপ একটি মোটরবাইকে অরক্ষিত অবস্থায় কীভাবে মুভ করে। ছোট একটি দুর্ঘটনা পরিবারের ওপরে, সরাসরি তার দেহের ওপরে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি করে। এরূপ বাইক দেখলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।