দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্য থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ৪৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪১ টাকা। গত মাসে যুক্তরাজ্য থেকে এক হাজার ৪৪২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮ টাকায় তিন কার্গো এলএনজি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এলএনজি আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা বিদেশ থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে এক কার্গো (১১-১২ নভেম্বর ২০২৫ সময়ের জন্য ৪৫তম) এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।
এ অনুমোদনের ফলে যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪১ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির মূল্য ধরা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৪৯ মার্কেন ডলার।
গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ১১ দশমিক ৪৪ মার্কিন ডলার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজির মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৬ টাকা।
আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ১১ দশমিক ৩৪ মার্কিন ডলার হিসেবে আর এক কার্গো এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানির মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২৪ টাকা।
বাকি এক কার্গো এলএনজিও যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে আমদানির অনুমোন দেওয়া হয়। এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪৮৪ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৬৮ টাকা। আর প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয় ১১ দশমিক ৫৪ মার্কিন ডলার।
এমএএস/এমএএইচ/এমএস