বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) যৌথভাবে ‘সেমিনার অন পাইলটিং লোকালি ডেভেলপড এআই ইন রেডিওলজি: অ্যা কলাবোরেটিভ ইনিশিয়েটিভ বিটুইন বিএমইউ অ্যান্ড বুয়েট’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে রেডিওলজিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার, গুরুত্ব ও স্থানীয়ভাবে এআই উন্নয়নের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘অ্যান আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এনাবলড ওয়েব-অ্যাপলিকেশন ফর অ্যাসিসটিভ অনলাইন রিপোর্টিং অফ রেডিওলজিক্যাল ইমেজেস’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের অংশ হিসেবে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে এআই ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যসেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে কার্যকর সুফল পেতে স্থানীয়ভাবে এআই উন্নয়ন জরুরি। বিএমইউ ও বুয়েট যৌথভাবে কাজ করলে স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
আরও পড়ুন
- জীবনযাত্রা-খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনেই নিয়ন্ত্রণ হবে অসংক্রামক ব্যাধি
পুনর্বাসনে অপরিহার্য হলেও গুরুত্বহীন ফিজিওথেরাপি
সভাপতির বক্তব্যে বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়াররা একসঙ্গে কাজ করলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের মানোন্নয়ন হবে। নতুন উদ্ভাবন রোগীদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. এম তারিক আরাফাত (বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং অধ্যাপক ডা. তৌফিক হাসান (রেডিওলজিতে এআই এর গুরুত্ব)।
এছাড়াও, সেমিনারে বিএমইউর বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-চিকিৎসকরা, কর্মকর্তা এবং বুয়েটের উপ-উপাচার্য ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসনোগ্রাফি থেকে প্রাপ্ত ইমেজে এআই এর সহায়তা রিপোর্টিং প্রক্রিয়াকে দ্রুত, নির্ভুল ও কার্যকর করবে। এতে রোগীদের চিকিৎসা হবে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী। বাংলাদেশের রোগীদের স্বার্থেই রেডিওলজিতে এআই প্রয়োগের উদ্যোগ জরুরি বলে মত দেন তারা।
এসইউজে/এএমএ