যুক্তরাজ্যে কীভাবে যাবেন, কোন ভিসা উপযুক্ত?

1 hour ago 3

যুক্তরাজ্যে ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন, তা জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। ইউরোপের সম্পদশালী দেশটিতে যেতে হলে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রয়োজন হয়। পড়াশোনা, কাজ, ভ্রমণ বা পরিবারের সঙ্গে যোগ দেওয়া- যে উদ্দেশ্যেই যেতে চান না কেন, আপনাকে আগে ভিসা নিতে হবে। ভিসার ধরন নির্ভর করে আবেদনকারীর জাতীয়তা, উদ্দেশ্য, অবস্থানের সময়কাল, ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং দক্ষতার ওপর।

যুক্তরাজ্যে ভিসার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভিজিটর ভিসা

ছয় মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ভিজিটর ভিসা প্রয়োজন। ছুটি কাটানো, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা, ব্যবসায়িক সফর বা স্বল্পমেয়াদি কোর্সের জন্য এটি ব্যবহার করা যায়। তবে এ ভিসায় চাকরি করা যায় না। যদি বিয়ে বা সিভিল পার্টনারশিপ নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে যাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আলাদা ম্যারেজ ভিজিটর ভিসা নিতে হয়।

ট্রানজিট ভিসা

অন্য দেশে যাওয়ার পথে যুক্তরাজ্যে অবস্থান বা ফ্লাইট পরিবর্তনের জন্য ভিসার প্রয়োজন হতে পারে। এজন্য ট্রানজিট ভিসার আবেদন করতে হয়।

পড়াশোনার জন্য

পড়াশোনার মেয়াদ ও কোর্সের ধরন অনুযায়ী ভিসার ধরন ভিন্ন হয়।

> স্ট্যান্ডার্ড ভিজিটর ভিসা: সর্বোচ্চ ৬ মাসের স্বল্পমেয়াদি কোর্সে পড়াশোনার জন্য।
> শর্ট-টার্ম স্টাডি ভিসা: ৬ থেকে ১১ মাস মেয়াদি ইংরেজি ভাষার কোর্সের জন্য।
> স্টুডেন্ট ভিসা: দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের জন্য, যেখানে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে অফার থাকতে হবে। এ ভিসায় আংশিক কাজ করার সুযোগ থাকে।
> চাইল্ড স্টুডেন্ট ভিসা: ৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা স্বাধীন স্কুলে পড়াশোনা করতে চায়। বয়স ১৬ বছরের বেশি হলে আংশিক কাজ করার অনুমতি থাকে।

ওয়ার্ক ভিসা

যুক্তরাজ্যে কাজ করতে হলে নানা ধরনের ওয়ার্ক ভিসা রয়েছে। কোন ভিসা প্রয়োজন হবে তা নির্ভর করে দক্ষতা, যোগ্যতা, চাকরির অফার, স্পনসরশিপ এবং কাজের ধরন—যেমন ক্রীড়া, দাতব্য বা ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণের ওপর। ব্যবসা শুরু করার জন্য রয়েছে ‘ইনোভেটর ফাউন্ডার ভিসা’।

পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে

যদি কারও স্বামী/স্ত্রী, সঙ্গী বা পরিবারের সদস্য ব্রিটিশ নাগরিক বা যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়ে থাকেন, তাহলে ফ্যামিলি ভিসার মাধ্যমে যোগ দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সহায়তার প্রমাণ দেখাতে হয়। নির্দিষ্ট সময় পর স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ‘ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (আইএলআর)-এর আবেদন করা সম্ভব।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড বা লিচেনস্টাইনের নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা ‘ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিম ফ্যামিলি পারমিট’-এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে ছয় মাস পর্যন্ত বসবাস, কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ পান।

কমনওয়েলথ নাগরিকদের জন্য

যাদের দাদা-দাদি বা নানা-নানি ব্রিটিশ নাগরিক, তারা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ‘অ্যানসেস্ট্রি ভিসা’ নিয়ে যুক্তরাজ্যে কাজ করতে পারেন। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে ‘রাইট অব অ্যাবোড’ বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকারও পাওয়া যায়।

রিটার্নিং রেসিডেন্টস

যারা অতীতে যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন, কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের বেশি বিদেশে ছিলেন, তাদের ফেরার জন্য ‘রিটার্নিং রেসিডেন্ট ভিসা’ নিতে হয়।

অন্যান্য ভিসা

ব্যক্তিগত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আরও নানা ধরনের ভিসা রয়েছে। তাই আবেদনের আগে যাচাইবাছাই করা উচিত।

পরামর্শ

সবসময় gov.uk/visas-immigration ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ আপডেট চেক করুন। কারণ ভিসা নিয়ম প্রায়ই পরিবর্তন হয়।

সূত্র: যুক্তরাজ্য সরকার
কেএএ/

Read Entire Article