যুক্তরাজ্যে শিশু ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত রেবেকা হলওয়েকে (৩১) কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ডারহামের এইচএম কারাগার লো নিউটনে সাড়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তিনি। সাজা শুরুর পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হলেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পিপল ম্যাগাজিন।
আরও পড়ুন>>
- ভারতে দলিত কিশোরীকে ৫ বছর ধরে ধর্ষণ করে ৬০ জন
- কর্ণাটকে ইসরায়েলি পর্যটকসহ দুই নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
- যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ বছরের মধ্যে প্রথম ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এইচএমপি/ওয়াইওআই লো নিউটনের বন্দি রেবেকা হলওয়ে মারা গেছেন। কারাগারে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার মতোই এটি তদন্ত করবে প্রিজন অ্যান্ড প্রোবেশনস ওম্বুডসম্যান।
২০১৮ সালে গ্রেট ফ্রম্বসি ক্রাউন কোর্টে শিশুদের প্রতি যৌন সহিংসতার অভিযোগ স্বীকার করেন রেবেকা হলওয়ে। তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণসহ একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল, যার প্রেক্ষিতে আদালত তাকে দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেন।
বিচারক পল ওয়াটসন এই মামলাকে তার দেখা ‘সবচেয়ে মর্মান্তিক’ মামলাগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, হলওয়ে এক সিরিয়াল শিশু নিপীড়ক অলিভার উইলসনের সঙ্গে পরিচিত হন এক ডেটিং অ্যাপে। এরপর তারা যৌথভাবে শিশুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালান।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, শিশুটিকে যৌন নির্যাতনের সময় আপনি উইলসনকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং ওই ভয়ংকর কাজে নিজেও অংশ নিয়েছিলেন। এতে আপনি বিকৃত যৌন আনন্দ পেয়েছেন। আপনারা দুজন শিশুটির ওপর যে নৃশংসতা চালিয়েছেন, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হয়তো কখনোই পুরোপুরি জানা যাবে না। তবে এটি যে তার জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে, তা নিশ্চিত।
তদন্তকারীরা হলওয়ের কাছ থেকে শিশুদের অন্তর্বাসের ছবি, যৌন খেলনা এবং শিশু নির্যাতনের ছবি উদ্ধার করেন। অন্যদিকে, অলিভার উইলসন ১১টি যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন, যার মধ্যে পাঁচটি ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। তাকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
উইলসনের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে হলওয়ের সঙ্গে শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত ‘অত্যন্ত যৌনতাপূর্ণ ও গ্রাফিক’ আলোচনা ছিল।
সূত্র: এনডিটিভি
কেএএ/