যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় নির্বাচিত হলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাসুল

3 hours ago 5

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় (নিম্নকক্ষ) ডেলিগেট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত স্যামুল রাসুল। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ভার্জিনিয়ার রোয়ানোক এলাকা থেকে দ্বিতীয় দফায় আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হাউজ অব ডেলিগেটস নির্বাচনে ওই এলাকার মোট ভোটের প্রায় ৭০ শতাংশ পেয়েছেন রাসুল। 

এর আগে ২০১৫ সালে একই এলাকা থেকে ভার্জিনিয়া আইনসভার নিম্নকক্ষের প্রতিনিধি নির্বাচনে তিনি জয় পেয়েছিলেন। ৪৪ বছর বয়সী স্যাম রাসুল ভার্জিনিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রোয়ানোক ভ্যালিতে বড়ো হয়েছেন। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তার বাবা-মা ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। পেশাগতভাবে তিনি একজন ফিজিক্যাল ট্রেইনার।

তিনি ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের তিনজন মুসলিম আইনপ্রণেতার একজন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র সাতজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদের মধ্যে অন্যতম।

রসুল তার রাজনৈতিক জীবনজুড়ে বহুবার ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণার মুখে পড়েছেন। প্রথম নির্বাচনে তাকে আল-কায়েদা অর্থায়ন করছে বলে মিথ্যা তথ্যসহ প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে সবসময় সরব ছিলেন এ রাজনীতিবিদ। ২০২৩ সালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজাবাসীর ওপর সর্বাত্মক হামলা শুরু করলে বহুবার এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন রসুল। তিনি গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনাকে ‘মানব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর জাতিগত নিধন’ এবং জায়নবাদকে ‘ধ্বংসাত্মক ও আধিপত্যবাদী মতাদর্শ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করার পর বিরোধীরা তাকে ইহুদিবিদ্বেষীর তকমা দেয়।

তবে বিরোধীদের কোনো মিথ্যা প্রচারণাই তার জন্য নিম্নকক্ষের নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। বর্তমানে তিনি রোয়ানোক সিটি এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গসহ বিভিন্ন অভিবাসী তথা মিশ্র জাতির মানুষের বসবাস ভার্জিনিয়ার রোয়ানোক সিটি এলাকা। সেখানে প্রায় ৮৬ হাজার অধিবাসীর মধ্যে ৬০ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ, ৩০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ১০ শতাংশ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী। এ এলাকা থেকে আগের নির্বাচনের তুলনায় ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন স্যামুল রাসুল।

নির্বাচনে জয়ের পর স্যামুল রাসুল বলেন, ‘ভোটাররা সৎ রাজনীতি চান’। তিনি আরও বলেন, জনগণ জানে আমি তাদের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। এভাবেই নির্বাচন জেতা যায়।

সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
কেএম

Read Entire Article