যে ডলার আছে আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না: অর্থ উপদেষ্টা

2 hours ago 3

বর্তমানে বাংলাদেশের কাছে যে ডলার আছে তা আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কেনার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা ঠিক আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অর্থ উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করা হয়- ডলারের চাহিদা কমে যাচ্ছে, সে হিসেবে ডলারের দামও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে দুই মিলিয়ন ডলার নিয়ে নিয়েছে দামটাকে একই পর্যায়ে রাখার জন্য। এতে আমদানিকারকদের জন্য চাপ সৃষ্টি হয়েছে যাচ্ছে কি না? উত্তরে তিনি বলেন, ডলার দাম কিছুটা যদি স্থিতিশীল না রাখি তাহলে খারাপ প্রভাব পড়বে। যারা রেমিট করে তাদের বিষয়টাও দেখতে হবে। কারণ ওরাইতো আমাদের মূল চালিকা শক্তি।

সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা ডলার কিনছি সেটা ঠিক। কিন্তু এখন আমাদের কাছে যে ডলার আছে সেটা বাংলাদেশের আপৎকালীন সময়ের জন্য পর্যাপ্ত না। ধরেন দেশে বড় ধরনের কোনো একটা কিছু হলো। তখন দ্রুত যদি কিছু আনতে হয় তখন কি হবে? ফরেন এক্সচেঞ্জ শুধু আমদানির জন্য ব্যবহার করা হয়, সেটা আপনাদের ভুল ধারণা। তাই সেভ কিছু না থাকলে বিপদ হবে।

তিনি বলেন, এটা আমি টের পেয়েছি যখন আমি ২০০৭-২০০৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলাম তখন। সে সময় সিডর, আইলা হলো তখন অনেক ঝামেলা হয়েছে। যাই হোক সে সময় আমরা সেটা সামাল দিয়েছিলাম। সুতরাং এসবের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করছে। রিজার্ভটা বিল্ডআপ করা দরকার।

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে কিছু বৈচিত্র ছিল। আমরা সার, কিছু খাদ্য পণ্য আমদানি করি। কিন্তু এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন চট্টগ্রামের শাহআমানত বিমান বন্দরটাকে আপগ্রেড করার জন্য সেখানর রানওয়ে আপগ্রেড করার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিমান বন্দরের কন্টোলরুম আরও আধুনিকায়ন করার জন্য একটা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। এছাড়া অকটেন আনার অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে অকটেনের কিছুটা ইয়ো আছে। দেশের অভ্যন্তরে অকটেনের চাহিদা আছে। তাই আমরা চাই না যে দেশে কোনো রকমের জ্বালানির সমস্যা হোক।

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরের মান উন্নয়নে কি করা হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের রানওয়েটা গ্রেড ওয়ান। সেটা স্পেস বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে বড় বিমান উঠা নামা করতে হলে রানাওয়েটা গ্রেড -২ তে উন্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকার কন্টোলটা আরো আধুনিক করা হবে।

এমএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article