রংপুরে দাম কমেছে ডিম-কাঁচামরিচের

5 hours ago 2

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ডিম ও কাঁচামরিচের দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজসহ অধিকাংশ সবজি।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৬-৪৮ টাকা থেকে কমে ৪২-৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৬৫-৭০ টাকা। তবে কাঁচামরিচের দাম ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা।

সিটি বাজারের ডিম বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, বাজারে ডিমের দাম সিন্ডিকেটের ওপর নির্ভর করে। হঠাৎ সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে খুচরা পর্যায়ে প্রভাব পড়ে। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে। আগের সপ্তাহে কেন দাম বাড়লো তার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫৫-৬০ টাকা, ঝিংগা ৫৫-৬০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৮০-২০০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ২০-৩০ টাকা, শসার দাম কমে ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা , লাউ (আকারভেদে) ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর বই ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ টাকা, ধনেপাতা ২০০-২৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ২০০-২২০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে দাম কমেছে ডিম-কাঁচামরিচের

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪৫-৫০ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধাপ লালকুঠি বাজারের সবজি বিক্রেতা মুকুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বৃষ্টি কমলেও সবজি বাজার বেশ চড়া। আগের মতো বেচাবিক্রিও হয় না। আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও এখনো বাজারে প্রভাব পড়েনি।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনির দাম কমে ১১০-১১৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্বর্ণা (মোটা) গত সপ্তাহের মতো ৫০-৫৪ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/এএসএম

Read Entire Article