বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল থেকে নিম্নমুখী আছে। নিত্যপণ্যের বাজার সামনে আরও নামবে।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী আয়োজিত ইফতার পরবর্তী এক ইমাম ও খতিব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্টে যে ছাত্র-জনতার বিপ্লব হলো, তার পিছনে একটি বড় কারণ হলো সম্পদের বৈষম্য। বৈষম্য দূর করতে হবে আমাদের কর্ম ও নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে। সম্পদের বৈষম্য দূর করতে ইসলামি মডেলের কর্জে হাসানা ও জাকাতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
জাকাত সম্পদ ডিস্ট্রিবিউশনের একটি কার্যকর ইসলামি মডেল। জাকাত ব্যক্তির দায়, এটা কোনো চ্যারিটি নয়। জাকাত প্রদানে ইমাম ও খতিবরা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন। এর মাধ্যমে সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত হবে, দারিদ্র্য কমে আসবে। এসময় জাকাত মজুতদারী নিরুৎসাহিত করে বলেও উল্লেখ করেন শেখ বশিরউদ্দীন।
টিসিবি বছরে ১২ হাজার কোটি টাকার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে সরকারের ভর্তুকি সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। আমাদের অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি সকল ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্নীতি হয়েছে বিগত সময়ে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টিসিবির কার্যক্রমে চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টিসিবির কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ততা কামনা করে তিনি বলেন, শুধু ইসলামের নয়, সকল ধর্মের নেতাদের প্রতি আহ্বান আপনারা টিসিবির এক কোটি প্রান্তিক পরিবারকে সঠিকভাবে বাছাই করতে সহযোগিতা করেন। আপনাদের মাধ্যমে সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
কোরবানির চামড়া সংরক্ষণ ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এবার সরকার মাদরাসা ও এতিমখানায় কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ পৌঁছে দেবে। আপনাদের দায়িত্ব হবে চামড়া কোরবানির দিনেই বিক্রি না করে পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করবেন। সাতদিন পরে বিক্রি করলে উপযুক্ত দাম পাবেন।
চামড়াকে জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা আমাদের মাদরাসা ও এতিমখানার আয়ের একটি বড় উৎস। চামড়া শিল্পের বিকাশে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য যথাযথ উদ্যোগ নিচ্ছে।
কোরবানির পরপরই ঢাকার বাইরের জেলা থেকে চামড়া ঢাকায় ঢুকলে সরবরাহ বেড়ে যায়, দামও কমে যায়। এবার যাতে এটা না হয় সেটা নিশ্চিত করা হবে।
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ জুনায়েদ আল হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মসজিদের খতিব ও ইমাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/বিএ/এমএস