দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে জেন জেড তরুণদের বিক্ষোভ শুধু রাজধানী কাঠমান্ডুতেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পোখারা, বিরাটনগর, বুটওয়াল, ঝাপা, চিতওনসহ বিভিন্ন শহর।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভরতপুর মহানগর কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, আকাশে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়েছে। পরে এলাকায় বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, পোখারায় সোমবার বিক্ষোভকারীরা মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। এর পরই স্থানীয় প্রশাসন দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে। কারফিউ শাহীদ চৌককে কেন্দ্র করে পূর্বে ভাই চৌক, পশ্চিমে ফিস্টেল চৌক, উত্তরে মালপত অফিস ও দক্ষিণে রাষ্ট্রীয় ব্যাংক চৌক পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রধান জেলা কর্মকর্তা রুদ্রাদেবী শর্মার জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, এই এলাকায় ভ্রমণ, পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েত, বিক্ষোভ, মিছিল, সভা কিংবা শোভাযাত্রা পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে।
দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রাজধানী কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে, যেখানে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন অবস্থিত। সেখানে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন তরুণ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেট ও আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশজুড়ে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কারফিউ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরিস্থিতি এখনও ‘অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ’।
সূত্র: দ্য হিমালয়ান
এসএএইচ