জাতিসংঘ সফরের জন্য সরকারি প্রতিনিধিদলে রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আবারও তাঁর প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে আবুল কালাম এ মন্তব্য করেন।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্তি একটি স্বাগত পদক্ষেপ। কারণ এটি বিশ্বের সামনে আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি করে-রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও। একই সঙ্গে নেতাদের একসঙ্গে সময় কাটানোর মাধ্যমে বোঝাপড়া ও সম্পর্কের সেতুবন্ধন গড়ে তোলার সুযোগও দেয়।
আবুল কালাম জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক সংঘাতে অস্থির বর্তমান বিশ্বে এ ফোরাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও জোরদার করার এক মূল্যবান প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পরপরই রোহিঙ্গা সংকটবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থাকায় নীতিনির্ধারণের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে আমাদের নেতাদের শারীরিক উপস্থিতি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, তাছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকগুলোও দেশের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থার জন্য মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি দিতে পারে। রাজনৈতিক নেতাদের সরকারি প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আবারও তার প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। আমরা আশা করি এ সফর প্রত্যাশিত সাফল্য বয়ে আনবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ অধিবেশনে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট, গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের যাত্রা, জলবায়ু পরিবর্তন ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শক্ত অবস্থান তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
এমইউ/একিউএফ/জেআইএম