রাজশাহীতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট

3 days ago 7

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার হাটবাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। দুয়েকটি দোকানে পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে অধিক দাম দিয়ে কিনছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে রীতিমতো ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াচ্ছেন দোকানিরা। এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার অধিকাংশ বাজারের মুদি দোকানগুলো থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল যেন বাজার থেকে হাওয়া হয়ে গেছে। তবে অধিক মুনাফালোভী দোকানিরা বোতলজাত সয়াবিন তেলের বোতল কেটে রাতের আঁধারে ড্রামে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে অধিক দামে বিক্রি করছে। এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়, হঠাৎ করে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ১৬৫ টাকা লিটার বিক্রি করা হলেও ২০ টাকা দাম বাড়িয়ে এখন তা ১৯০-২০০ টাকা প্রতি লিটার হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় দোকানিরা বোতলের মুখ কেটে ড্রামে ঢেলে তা খোলা সয়াবিন হিসেবে অধিক দামে বিক্রি করছেন। তবে কিছু কিছু দোকানে বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে অধিক দাম আদায় করা হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। অতিরিক্ত দাম নিয়ে প্রায়ই ক্রেতাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াচ্ছেন দোকানিরা।

চারঘাট সদরবাজারে বাজার করতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকটি দোকানে গিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইনি। আমি সবসময় বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনে থাকি। কিন্তু বোতলজাত সয়াবিন না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে খোলা সয়াবিন তেল কিনেছি। তাও আবার দাম বেশি। এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এখন দেখছি বোতলজাত সয়াবিন তেলের চেয়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম আরও বেশি।

কাঁকড়ামারী এলাকার মুদি দোকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে কোম্পানির ডিলাররা তেল দিচ্ছে না। তাই আমরা খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

চারঘাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী পবন আগরওয়ালা বলেন, খোলা সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির কারণে কোম্পানির লোকজন বোতলজাত সয়াবিন দিচ্ছে না। ফলে খোলা সয়াবিন ১৮০ টাকা লিটার বিক্রি করছি। অধিক দাম নেওয়ার সুযোগ নেই।

চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। তবে কোনো বিক্রেতা যদি সয়াবিন তেলের দাম বেশি নেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article