কথাসাহিত্যিক রাজ মাসুদ ফরহাদের ‘রিবিল্ডিং বাংলাদেশ: বিএনপি’স থার্টিওয়ান পয়েন্টস অব স্টেটসম্যানশিপ—তারেক রহমান’স ভিশন ফর রিফর্ম, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট রাজধানীর গুলশান ক্লাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। বইটি প্রকাশ করেছে প্রতিকথা প্রকাশনা।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টুমরো ফোরাম এবং বিএনপি সাইবার ফোর্স। অনুষ্ঠানে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টুমরো ফোরাম ও বিএনপি সাইবার ফোর্সের সভাপতি রাজ মাসুদ ফরহাদ।
প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এবং চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
অনুষ্ঠানে রাজ মাসুদ ফরহাদের গবেষণা ও পরিচালনায় বাংলাদেশ টুমরো ফোরাম এবং বিএনপি সাইবার ফোর্সের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
প্রধান বক্তা ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, গবেষক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহীন, অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেন এফসিএ।
বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা ভিশন কেবল রাজনৈতিক রূপরেখা নয়; এটি জাতির সার্বিক অগ্রযাত্রার জন্য একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আরিফ খান, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আইসিটি বিশেষজ্ঞ রাজ মাসুদ ফরহাদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক রূপম রাজ্জাক, নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, এগ্রি-বিজনেস উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা ভিশনকে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করছি।’ তিনি এটিকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অসাধারণ অবদান হিসেবে আখ্যায়িত করেন। রাজ মাসুদ ফরহাদের ইংরেজিতে বিশদ বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা প্রশংসা করেন।
শামসুজ্জামান দুদু বইটির প্রশংসা করেন এবং বাংলা সংস্করণ দ্রুত প্রকাশের জন্য রাজ মাসুদ ফরহাদকে উৎসাহ দেন। হাবিবুর রহমান হাবিব বইটির ব্যবহারিক প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করেন এটি বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলে সহায়ক হবে।
ড. মাহদী আমিন ৩১ দফা কীভাবে নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে, তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। ইংরেজিতে বইটি লেখার জন্য রাজ মাসুদ ফরহাদকে অভিনন্দন জানান।
ড. কাজল রশীদ শাহীন বইটির তাৎপর্য এবং ভবিষ্যতের রাষ্ট্র নির্মাণে এর অবদান তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রাজ মাসুদ ফরহাদ বিএনপি ও তারেক রহমানের বিভিন্ন ভবিষ্যৎ প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
বক্তারা সবক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সুশাসন, শিক্ষা, অর্থনীতি ও কৃষি—সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তারেক রহমানের ভিশন জাতীয় উন্নয়নে নতুন গতি আনবে।
রাজ মাসুদ ফরহাদ বক্তা ও প্যানেলিস্টদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে সংলাপ, সহযোগিতা এবং কর্মে সাহসের ওপর। তারেক রহমানের ভিশন কেবল নীলনকশা নয়; এটি একটি আহ্বান—ভাবনাগুলোকে বাস্তব পরিবর্তনে রূপান্তর করার জন্য, যা প্রতিটি নাগরিকের জীবনে স্পর্শ ফেলে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবাই এখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাবনাগুলোকে এগিয়ে নেবেন। আজকের আলোচনাগুলো আগামীর সাফল্যে রূপান্তর করবেন। একসাথে আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে পারি; যা ন্যায়সংগত, সমৃদ্ধ এবং ভবিষ্যত-সিদ্ধ। তিনি সবার অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসইউ/এমএস