টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড একদমই খারাপ। এর আগে ১৫ বারের দেখায় মাত্র একবার আফগানদের হারাতে পেরেছিল তারা। একমাত্র জয়টি এসেছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামে ত্রিদেশীয় সিরিজে।
পাঁচ বছরেরও দীর্ঘ সময় পর অবশেষে আবারও আফগানবধের স্বাদ পেলো জিম্বাবুইয়ানরা। হারারেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে শেষ বলে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সিকান্দার রাজার দল।
লক্ষ্য ১৪৫। শেষ দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ২১ রান। হাতে ৫ উইকেট। ১৯তম ওভারে ১০ রান দিয়ে ওয়েসলি মাদভেরের উইকেট তুলে নেন নাভিন উল হক। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১১। সেই লড়াই গেছে শেষ বল পর্যন্ত।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান তাশিঙ্গা মুসেকিউয়া। পরের দুই বলে দুই করে চার রান। চতুর্থ বলে ডট। পঞ্চম বলে আবার দুই নিয়ে স্কোর লেভেল করে ফেলেন মুসেকিউয়া, শেষ বলে ঠান্ডা মাথায় নেন জয়সূচক রান।
সাত নম্বর ব্যাটার তাসিঙ্গা ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট আর ওয়ান ডাউন ডিয়ন মায়ার্স। বেনেট ৪৯ বলে ৪৯ আর মায়ার্স ২৯ বলে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তোপের মুখে পড়েছিল আফগানিস্তান। ৫৮ রানে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে করিম জানাত আর মোহাম্মদ নবির ৪৯ বলে ৭৯ রানের জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে আফগানরা।
নবি ২৭ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ৪৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন জানাত।
জিম্বাবুয়ের রিচার্ড এনগারাভা ২৮ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
এমএমআর/জিকেএস