র্যাগিংয়ের দায়ে বেরোবির তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) র্যাগিংয়ের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বহিষ্কার হওয়া তিন শিক্ষার্থী হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাফি আহমেদ ও আজিজুল হাকিম। এর মধ্যে মামুন ও রাফিকে দুই শিক্ষাবর্ষ ও আজিজুলকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে৷ এছাড়া আরও ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া একই বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের মনিরুজ্জামান, গোলাম মোর্শেদ তামি, মেঘনাথ রায়, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান শাকিল, মো. সুজন মিয়া, আকরাম আলি, ফাহিম ইসলাম ও ফরাদ হোসেনকে সতর্ক করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১৭ ব্যাচের (প্রথম বর্ষের) কয়েক জনকে ‘ম্যানার শেখানোর’ কথা বলে বিজয় ২৪ হলের ছাদে ডেকে নেন অভিযুক্ত সিনিয়ররা। নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বাংলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুন, ১৭ ব্যাচের দ্বীন ইসলামকে কানে থাপ্পড়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) র্যাগিংয়ের দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বহিষ্কার হওয়া তিন শিক্ষার্থী হলেন- আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাফি আহমেদ ও আজিজুল হাকিম। এর মধ্যে মামুন ও রাফিকে দুই শিক্ষাবর্ষ ও আজিজুলকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে৷ এছাড়া আরও ৯ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা সবাই বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া একই বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের মনিরুজ্জামান, গোলাম মোর্শেদ তামি, মেঘনাথ রায়, মাসুদ রানা, সাইদুর রহমান শাকিল, মো. সুজন মিয়া, আকরাম আলি, ফাহিম ইসলাম ও ফরাদ হোসেনকে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১৭ ব্যাচের (প্রথম বর্ষের) কয়েক জনকে ‘ম্যানার শেখানোর’ কথা বলে বিজয় ২৪ হলের ছাদে ডেকে নেন অভিযুক্ত সিনিয়ররা। নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলে বাংলা বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুন, ১৭ ব্যাচের দ্বীন ইসলামকে কানে থাপ্পড় দেন। এতে দ্বীন ইসলাম কান্নায় ভেঙে পড়লে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ছুটে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তদের দুজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় হল প্রভোস্ট তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটি শাস্তিমূলক এই সিদ্ধান্ত নেয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলি বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার নোটিশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলা বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ১২ জন শিক্ষার্থী, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাফি আহমেদকে দুই শিক্ষাবর্ষ ও আজিজুল হাকিমকে এক শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে৷ বাকি নয় শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, র্যাগিংয়ের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জিরো টলারেন্স।
এমএন
What's Your Reaction?