একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। আজ (১১ ডিসেম্বর) বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজা। তিনি পাপিয়া সারোয়ারের বড় বোনের মেয়ে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছেন পাপিয়া সারোয়ার। গত চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তিনি। এর আগে তিনি রাজধানীর আরও একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। শম্পা রেজা জানান, তার দুই খালাতো বোন জারা ও জিশান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় থাকেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তারা দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। এর আগে ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতে দীক্ষা নেন পাপিয়া।
পাপিয়া সারোয়ার ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। আধুনিক গানেও জনপ্রিয়তা ছিল এই শিল্পীর। তার গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে বাংলা গানের শ্রোতাদের মাঝে পরিচিতি এনে দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে ফেলোশিপ প্রদান করে। তিনি ২০২১ সালে একুশে পদক পেয়েছেন।
এমআই/আরএমডি/এমএস