লিটন-মিরাজদের কোচেরা কে কত টাকা বেতন পান?

1 month ago 23
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সের পেছনে ক্রিকেটারদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কোচিং স্টাফরা। মাঠের সাফল্য যেমন নজর কাড়ে, তেমনি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে তাদের পারিশ্রমিকের বিষয়টিও। সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশ দলের বর্তমান কোচদের বেতন কাঠামোর বিস্তারিত চিত্র। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ কোচ ফিল সিমন্স। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তিনি পাচ্ছেন ৩০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশ দলের স্পিন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন চুক্তিভিত্তিকভাবে। তাকে সাধারণত সিরিজ বা বিশেষ ক্যাম্পের সময় ডাকা হয়। প্রতিদিনের ভিত্তিতে তার পারিশ্রমিক ৮৬ হাজার ১০০ টাকা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘরোয়া পর্যায়ে সবচেয়ে সফল ও আলোচিত কোচদের একজন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে তিনি জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন। শুরুতে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, তবে সেটি বাড়িয়ে ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বেতনও—বর্তমানে তার মাসিক বেতন প্রায় ১০ লাখ টাকা। দেশীয় কোচদের মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্ক। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিতারকা শেন টেইট জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন। তরুণদের স্কিল ও গতি উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার মাসিক বেতন ১৭ লাখ ২২ হাজার টাকা। জাতীয় দলের ফিল্ডিং উন্নয়নের দায়িত্বে রয়েছেন জেমস পেমেন্ট। তার মাসিক বেতন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। দলের ফিল্ডিং উন্নয়ন এবং ফিটনেস ম্যানেজমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তিনি।  একনজরে কোচদের বেতন :  কোচের নাম দায়িত্ব বেতন (প্রতি মাসে বা দিনে) ফিল সিমন্স প্রধান কোচ ৩০,৭৫,০০০ টাকা / মাস মুশতাক আহমেদ স্পিন পরামর্শক ৮৬,১০০ টাকা / দিন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সিনিয়র সহকারী কোচ ৯,০০,০০০ টাকা / মাস শেন টেইট পেস বোলিং কোচ ১৭,২২,০০০ টাকা / মাস জেমস পেমেন্ট ফিল্ডিং কোচ ১৩,৫৩,০০০ টাকা / মাস বিদেশি কোচদের পাশাপাশি দেশীয় কোচরাও ধীরে ধীরে মূল্যায়িত হচ্ছেন, যা বাংলাদেশের কোচিং অবকাঠামোর জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। আন্তর্জাতিক মানের পারিশ্রমিক দিয়ে বিসিবি কোচদের মধ্যে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়াচ্ছে, তেমনি গড়ে তুলছে একটি পেশাদার পরিবেশ—যার সুফল পাওয়া যেতে পারে সামনের দিনগুলোতে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সেই।
Read Entire Article