ফ্রান্সের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া রাজপরিবারের গহনাগুলো উদ্ধার করতে ইসরায়েলের একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা চেয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ অক্টোবর) ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা সিজিআই গ্রুপের প্রধান নির্বাহী জভিকা নাভেহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জভিকা নাভেহ ফরাসি বার্ত সংস্থা এএফপিকে বলেন, ল্যুভর কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমধর্মীভাবে আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, চুরিতে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় উদঘাটন ও চুরি হওয়া নিদর্শনগুলো উদ্ধার করার জন্য।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালে জার্মানির একটি জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া নিদর্শন উদ্ধার অভিযানে তাদের সংস্থার সফলতা ল্যুভরের এই আস্থার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
রাজধানী প্যারিসের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই জাদুঘর থেকে রোববার (১৯ অক্টোবর) নয়টি অমূল্য গহনা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় শুধু ল্যুভরেই নয়, ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চোরেরা কীভাবে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ভেতরে ঢুকে মুকুট, নীলম ও পান্না খচিত নেকলেস নিয়ে পালাতে পারলো? আর ৩৫ হাজার শিল্পকর্ম সংরক্ষিত থাকা প্রায় ৭৩ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এমন বিশাল জাদুঘরকে আসলেই কতটা নিরাপদ রাখা সম্ভব?
সরকার জানিয়েছে, এই চুরির ঘটনার আগেই ল্যুভরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা শুরু হয়েছিল। তবে জাদুঘরের কর্মীদের ইউনিয়ন অভিযোগ করেছে, নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে।
জানা যায়, তিনজন মুখোশধারী জাদুঘর খোলার কিছুক্ষণ পরেই ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা সেন নদীমুখী দিকের অ্যাপোলো গ্যালারিতে পৌঁছাতে একটি মালবাহী লিফট ব্যবহার করেন, যেখানে ফ্রান্সের রাজকীয় গহনার সংগ্রহ রাখা ছিল।
চোরেরা কাচ ভেঙে গ্যালারিতে ঢোকে এবং নয়টি মূল্যবান সোনার আইটেম নিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ সূত্র জানায়, চোরেরা একটি মোটর-স্কুটারে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
সূত্র: এএফপি
এসএএইচ