ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিজেপির নেতা মিঠুন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি রুপির মানহানির মামলা করেছেন। মিঠুনের অভিযোগ, কুণাল ইচ্ছাকৃতভাবে তার এবং পরিবারের বিরুদ্ধে ‘অসত্য ও কুরুচিকর’ মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্যের মধ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে তার সংশ্লিষ্টতা এবং স্ত্রী ও ছেলেকে ঘিরে পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য প্রচার হয়েছে।
মিঠুনের দাবি, কুণালের এসব বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে উৎসারিত এবং তার জনমুখী ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এদিকে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি এই মামলায় বিচলিত নন, বরং একে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন। তার বক্তব্য, তিনি আদালতে মিঠুন চক্রবর্তীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার আবেদন করবেন, যেমনটি তিনি ২০১৯ সালে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে করেছিলেন।
কুণালের দাবি, তার হাতে এমন নথিপত্র রয়েছে, যা আদালতে উপস্থাপন করলে মিঠুন চক্রবর্তী বিপাকে পড়তে পারেন। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইর এক কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করারও পরিকল্পনা করছেন। কুণাল আরও বলেন, ‘একসময় আমাদের দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন মিঠুন রাজনৈতিকভাবে আমাদের থেকে দূরে সরে গিয়ে তিক্ততার সূচনা করেছেন। এবার তাকে কাঁদিয়ে ছাড়ব।’
উল্লেখ্য ,মিঠুন চক্রবর্তী ও কুণাল ঘোষের মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দূরত্বের সূচনা হয় ২০১১ সালের পর থেকেই। যা এবার প্রকাশ্য আইনি লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। আলোচিত এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি নিদর্শন। বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুরনো চিটফান্ড ইস্যু তুলে এনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুর্বল করতে চাইছে।