যে কোনো রকম শত্রুর মোকাবেলায়, শত্রুর অনিষ্ট ও ক্ষতি থেকে বাঁচতে আল্লাহর ওপর ভরসা করা উচিত, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) যে কোনো বিপদ-আপদ ও ঝুঁকির মুখে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইতেন। এখানে আমরা মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার ২টি দোয়া উল্লেখ করছি।
১. আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কোনো শত্রুদলের পক্ষ থেকে আক্রমণ বা ক্ষতির ভয় করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন,
اللَّهُمَّ إنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআ’লুকা ফী নুহূরিহিম অনাঊযু বিকা মিন শুরূরিহিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের মুখোমুখি করছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। (সুনানে আবু দাউদ: ১৫৩৯)
২. শত্রুর পক্ষ থেকে আক্রমণ বা ক্ষতির ঝুঁকির মুখে মহানবী (সা.) এ দোয়াটিও পড়তেন,
حَسۡبُنَا اللّٰهُ وَ نِعۡمَ الۡوَكِیۡلُ
উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল।
অর্থ: আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি কতই Gনা উত্তম কর্মবিধায়ক! (সহিহ বুখারি: ৪৫৬৩)
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা, প্রার্থনা করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। দোয়ার মাধ্যমে যেমন আল্লাহর আনুগত্য ও রহমত লাভ করা যায়, আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচা যায়, শয়তানের ধোঁকা ও দুনিয়াবি বিপদ-আপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়, একইভাবে দোয়ার মাধ্যমে ইমানও প্রকাশ পায়। আল্লাহর প্রতি বান্দার ভরসা ও নির্ভরতা প্রকাশ পায়। বান্দার বিনয় ও অহংকারহীনতা প্রকাশ পায়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেছেন, তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমার কাছে দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত হতে বিমুখ তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে। (সুরা গাফির: ৬০)
ইমাম শাওকানি (রহ.) বলেন, ওপরের আয়াত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, দোয়া অন্যতম ইবাদত। দোয়া না করা আল্লাহর সঙ্গে অহংকার করার শামিল। এ অহংকারের চেয়ে নিকৃষ্ট কোনো অহংকার হতে পারে না। কীভাবে মানুষ আল্লাহর সঙ্গে অহংকার করতে পারে যে আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে সব ধরনের জীবনোপকরণ দিয়েছেন, যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান এবং ভাল-মন্দের প্রতিদান দিয়ে থাকেন! (তুহফাতুজ জাকিরীন)
ওএফএফ