শিক্ষার্থীদের তথ্য পাচারে অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের দেড় মাস পার হলেও এখনো কোনো জবাব মেলেনি। তবে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত মাসে জমা দেয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনো খোলা হয়নি।
এর আগে ১৬ মে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত নম্বরে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির মেসেজ পাঠায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বার্তা চলে যায় অনেক অভিভাবকের কাছেও। তখন নিরাপত্তা হুমকি ও গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত আইডিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে নম্বর সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করে সেদিন রাতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (সত্যতা যাচাই) কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রথমে ৮ কার্য দিবস, পরে পিছিয়ে আরও এক সপ্তাহের মতো সময় নেয় কমিটি।
জানা যায়, দুবার তারিখ পরিবর্তনের পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ২২ জুন রিপোর্ট জমা দেয়। কিন্তু সে ফাইল এখনো খোলা হয়নি। এরই মধ্যে ২৫ জুন একটি জরুরি সিন্ডিকেট সভাও হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ছাত্রদলের ভ্যাকসিন কর্মসূচিকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন একটি দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য কারো হাতে তুলে দিতে পারে না। যেটা পরবর্তীতে নিরাপত্তা হুমকিও হতে পারে। প্রশাসন অভিযোগ অস্বীকার করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করার এতদিন পার হওয়ার পরও এটা নিয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। যা স্পষ্টত একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার বিষয় প্রমাণ করে। আমরা চাই প্রশাসন এর জবাব দ্রুত দেবে।
জানার জন্য তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানকে কল দিলে তিনি বলেন, আমরা ২২ জুন রিপোর্ট জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান বলেন, রিপোর্ট জমা হয়েছে, তবে এখনো ফাইল খোলা হয়নি। আগামী সিন্ডিকেটে খোলা হবে।
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সৈকত ইসলাম/জেডএইচ/এএসএম