শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’য় জবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ

3 months ago 54

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন। তারা এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন।

বুধবার (১৪ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে যান ভিসি ও কোষাধ্যক্ষ।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন

দুপুর ১টার দিকে মৎস্য ভবন পেরিয়ে কাকরাইল মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে বসে পড়েন। তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।

দুপুর আড়াইটার পর বৃষ্টি শুরু হলে আন্দোলনকারীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবং হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

এদিকে, বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে আরও কয়েকশো শিক্ষার্থী কাকরাইলে জড়ো হন। এসময় তাদের স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হতে থাকে।

শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি আহত ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো।

পুলিশি হামলার বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, পুলিশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সহকারী প্রক্টরের ওপর আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচরণ করেছে। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাস্তা ছেড়ে যাবে না।

রমনা জোনের ডিসি মাসুদুল আলম বলেন, পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যমুনার সামনে যাওয়া বা সেখানে অবস্থান-সমাবেশ করার কোনো সুযোগ নেই।

তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, কয়েকদিন আগেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনা ঘেরাও করা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখন কোনো ধরনের বাধা দেয়নি। উল্টো গরমে বিক্ষোভকারীদের স্বস্তি দিতে তাদের ওপর ঠান্ডা পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

জবির আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো-
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরএএস/এমকেআর/জেআইএম

Read Entire Article