শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, তাপমাত্রা কত
হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় হিমেল বাতাসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে হালকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১১ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড় জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল ও রাতে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রমজীবীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা দেখা গেছে। শীতের মাত্রা কমে যাওয়ায় নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে যে শীত ছিল তা কমে গেছে এই কয়েকদিনে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে শীত অনুভব হলেও সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তি মিলেছে। কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে না। একই কথা জানান গ্রামীণ নারীরাও।
তবে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয়রা।
এদিকে জীবিকার তাগিদে হিমশীতল ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। তবে আবহাওয়া ওঠানামা করায় ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় কালবেলাকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) তুলনায় তাপমাত্রা আজকে ০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। তবে ভোর থেকে আজকে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিকে দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।