শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তার ২ দিনের রিমান্ডে
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় জড়িত মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তারের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গজারিয়া থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আক্তার সরকারকে আদালতে পাঠান। আদালতে বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আক্তারকে দুদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার তিতাস থেকে শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। পরদিন সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আক্তারকে গজারিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব-১১।
আক্তার সরকার গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ার সরকার বাড়ির আ. মজিদ সরকারের ছেলে। তার নামে গজারিয়া, দাউদকান্দি, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ২৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া অস্থায়ী ক্যাম্পে নয়ন-পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত সদস্য ৪/৫ টি ট্রলার যোগে এসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল এবং চতুর্দিক থেকে গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের বাধার মুখে ডাকাত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র ডাকাতদের হামলা, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর অন্যতম সদস্য আক্তার সরকার। তিনি হত্যা, ডাকাতি, মাদক, অপহরণসহ ২৭টি মামলার আসামি এবং মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত।
এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযানে আক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় ব্যবহৃত বিশেষ ইঞ্জিনচালিত নৌকা, পাঁচটি পিতলের তৈরি নৌকার পাখা, দুটি চুম্বক, একটি বাইনোকুলার, একটি ছোরা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত আরও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।