শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিত হলো ‘এগ্রি কার্নিভাল ১.০’। আয়োজনে ছিল নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, রম্য-বিতর্কসহ নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. বেলাল হোসেন, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আবুল বাশার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শকের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় রাত ২টা ৩০ মিনিটে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া দর্শকরা জানান, শেকৃবি ক্যাম্পাসে এ ধরনের উৎসবমুখর আয়োজন কম হয়। এগ্রি কার্নিভালের মতো অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তাদের মানসিক উৎকর্ষ বিকাশে সহায়ক হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
তারা আরও বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্লাব সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। এর ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের সহশিক্ষা কার্যক্রম উপস্থাপন করার একটি উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম পেয়েছে, যা তাদের নেতৃত্ব, দলগত কাজ এবং সৃজনশীলতা প্রকাশে সহায়তা করবে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমরান হোসেন ইমন বলেন, বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সম্মানিত প্রশাসনকে, যাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছাড়া এত অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে এত বড় আয়োজন সম্ভব হতো না। একই সঙ্গে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা কৃষি অনুষদের শিক্ষকদের প্রতি, যারা আমাদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষি অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ মেলবন্ধন তৈরি করা।
অনুষ্ঠানের বিষয়ে শেকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আরফান আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণে শেকৃবি প্রশাসন সবসময় ইতিবাচক ও প্রস্তুত রয়েছে। আমরা মনে করি, শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদন, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনার আগ্রহ বাড়ে এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রোগ্রামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নিয়েছি, যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এবং সব শিক্ষার্থী নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে যেকোনো শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানের সময়সীমা রাত ১১টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে আমরা কঠোর অবস্থান নেবো। শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।
সাইদ আহম্মদ/এএমএ/জিকেএস