বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিদ্যামান থাকা পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে তারা ক্যাম্পাসে গণরুম সংস্কৃতি পুনরায় ক্যাম্পাসে চালু না করারও দাবি জানান।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উঠে আসে।
এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থীরা জানান, সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে অথচ শেকৃবি ভর্তিতে এখনো প্রায় ১১.১৭ ভাগ কোটা বহাল আছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ কোটা সংস্কার করে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানান তারা। পোষ্য কোটা, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায় কোটা, খেলোয়াড় কোটা এবং বিকেএসপিসহ অন্যান্য কোটা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ কোটা রেখে সংস্কারের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতিকে ভর করে গণরুম প্রথা পুনরায় চালু হওয়ার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশিক আহমেদ বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান থাকা কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আজ দেশে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে ভর্তি প্রক্রিয়ায় মেধাবীদের বাদ দিয়ে কোটা প্রথা চালু রেখে বৈষম্য সৃষ্টি করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিদ্যামান থাকা ১১ শতাংশ কোটার সংস্কার করে ৪ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া গণরুম প্রথার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। গণরুম প্রথার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাছাড়া গণরুম প্রথা বিদ্যামান রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সিট দেওয়ার প্রত্যাশা দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ইতিহাস পূর্বে আমরা দেখেছি।