‘শেখ হাসিনা নিজেই দ্বিতীয়বার তার বাপকে হত্যা করেছে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী চক্রান্তের ফলশ্রুতিতে দেশের ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২নং বাড়িসহ সারাদেশজুড়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙেছে। এর মানে হলো শেখ হাসিনা নিজেই তার বাপকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার বালুর মাঠে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল। দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া।
ড. মোশাররফ বলেন, আওয়ামী নৈরাজ্য মোকাবিলা করতে বিএনপিসহ সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তাই কেউ যদি কোনো প্রকারের ষড়যন্ত্র করে তাহলে তাকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।
বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান বিএনপির দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের ফসল। আমাদের দলের চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে বিনাদোষে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। আমাদের নেত্রীকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে এই আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশ ছাড়া করে রেখেছে। আমাকেও ১৭টি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। ৫ বছর জেল খাটিয়েছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য নেতাকর্মী গৃহহারা ছিল, জেল-জুলুম নির্যাতনের খড়্গে তাদের জীবন দিশাহারা করেছিল এই জুলুমবাজ আওয়ামী সরকার।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে এ নেতা বলেন, দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসররা বাবু ও রিফাত নামের দুজনকে হত্যা করেছিল। সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। অথচ এসব হত্যা মামলার আসামিরা এখনো বীরদর্পে চলাফেরা করে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন।
পৌর বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে এ জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম সামছুল হক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম সরকার, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ লতিফ ভূঁইয়া, তিতাস উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওসমান গনি ভূঁইয়া উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ, তিতাস উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী হোসেন মোল্লা, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. কাউছার আলম সরকার, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খন্দকার রোমানসহ দাউদকান্দি, তিতাস উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সভাটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার।