শেষ ওভারে খুলনাকে হারিয়ে প্লে-অফের পথে বরিশাল

3 hours ago 5

নাইম শেখ ধীরগতিতে খেলে শেষের দিকে হাত খুললেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। অনেকটা সময় উইকেট হাতে রেখে কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারলো না খুলনা টাইগার্স। ফরচুন বরিশাল তুলে নিলো ৭ রানের জয়।

এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে দুইয়ে থাকা তামিম ইকবালের দল। আট ম্যাচে পঞ্চম হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচেই মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা।

১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা একদমই ভালো হয়নি খুলনার। ইমরুল কায়েস রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে পথ ধরেন। শুরুর সেই ধাক্কায় খোলসে ঢুকে পড়ে খুলনা। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৩১।

নাইম শেখ আর মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট বাঁচিয়ে খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত মিরাজের আউটে ভাঙে এই জুটি। মিরাজ ২৯ বলে করেন ৩৩। ৮ বলে ৪ করেই ফিরে যান অ্যালেক্স রস।

রানের চাপ বাড়তে থাকে খুলনার ওপর। চাপ কমাতে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। তবে ১৭ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২৭ রানে থামতে হয় বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। দুই বল পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (২) রানআউট হয়ে ফিরলে ফের চাপে পড়ে খুলনা।

৪৯ বলে ফিফটি করা নাইম শেখ এরপরও হাত খুলতে পারেননি। মূলত তার ধীরগতির ইনিংসটিই দলের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। শেষ ওভারে খুলনার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৪ রান। নাইম প্রথম বলে ডট দেন। পরের দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হয়ে যান। তার ৫৯ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংসটি দলের কোনো কাজেই আসেনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানে ৩টি আর ৮৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বরিশাল। খাদের সে কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর রিশাদ হোসেন। এই যুগলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে বরিশাল।

চট্টগামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বরিশাল। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়ে টানা দুই ডেলিভারিতে ফেরান তামিম ইকবাল আর ডেভিড মালানকে। দুজনই পান গোল্ডেন ডাক।

এরপর রানআউট হয়ে বিপদ বাড়ান মুশফিকুর রহিম (৪ বলে ৫)। ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে তাওহিদ হৃদয় কিছুটা সময় দলকে ভরসা দেন। কিন্তু মোহাম্মদ নবি (১), ফাহিম আশরাফরা (৯) ব্যর্থ হলে চরম বিপদে পড়ে বরিশাল।

সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ আর রিশাদের ২৮ বলে ৪৭ রানের জুটি। ৪৫ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় কাঁটায় কাঁটায় ৫০ করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ১৯ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৩৯ করেন রিশাদ।

মেহেদী মিরাজ ৩৫ রানে ৩টি আর সালমান ইরশাদ ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট।

এমএমআর/এমআইএইচএস

Read Entire Article