শেষ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে হেরে গেল বাংলাদেশের মেয়েরা

2 hours ago 6

শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। হাতে ৫ উইকেট। ৭৭ রানে সেট হওয়া ব্যাটার নিগার সুলতানা জ্যোতি রয়েছেন ক্রিজে। সঙ্গে রাবেয়া খান। বোলিংয়ে আসলেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপত্তু। যিনি আগে ৯ ওভার বল করে ৪১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।

কিন্তু কী আশ্চর্য, ওভারের প্রথম চার বলেই আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ দলের চার ব্যাটার। প্রথম বলে রাবেয়া খান হলেন এলবিডব্লিউ, দ্বিতীয় বলে নাহিদা আক্তার হলেন রানআউট। তৃতীয় বলে ৭৭ রান করা নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং চতুর্থ বলে আউট হলেন মারুফা আক্তার। শেষ দুই বলে ১ রান নিলেন নিশিথা আক্তার নিশি।

টানা চার বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটাই মাত্র ৭ রানে হেরে গেলো বাংলাদেশ দল। অর্থাৎ, শেষ মুহূর্তে তীরে এসে তরি ডুবলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের।

টুর্নামেন্টজুড়ে যেখানে রোমাঞ্চকর ম্যাচের অভাব ছিল, সেখানে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেখা মিললো দারুণ এক থ্রিলারের। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নারী দলের লড়াইয়ে শেষ ওভারে নাটকীয়ভাবে জয় তুলে নিয়েছে লঙ্কানরা। ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ রানে হেরে যায় এবং এর ফলে তারা সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে।

প্রায় পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা বাংলাদেশ শেষ ৯ বলেই হারিয়ে ফেলে ৫টি উইকেট! শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু নেন তিনটি উইকেট, আর এর মাঝেই এক রানআউটে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা।

বাংলাদেশের শেষ ওভারে যা ঘটেছে, সেটি যেন সিনেমার গল্প। ৫০তম ওভারের প্রথম চার বলে চার উইকেট! আতাপাত্তুর বল আর দারুণ ফিল্ডিংয়ে মুহূর্তেই ম্যাচ ঘুরে যায়। এই ওভারের আগ পর্যন্তও বাংলাদেশ সহজেই জয়ের পথে ছিল।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি পুরো ইনিংসের ভরসা হয়ে খেলেন ৭৭ রান (৯৮ বলে)। তার ব্যাটে ভর করেই গড়া হয় দুটি বড় জুটি — শারমিন আখতারের সঙ্গে ৮২ রানের এবং পরে শর্না আখতারের সঙ্গে ৫০ রানের। কিন্তু শেষদিকে পুরো দল ভেঙে পড়ে আতঙ্কে ও চাপে।

সহজে তাড়া করার মতো লক্ষ্য হলেও ব্যাটাররা অতিরিক্ত সতর্ক হয়ে পড়ে। এক সময় ম্যাচ পুরো নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও ধীরে ধীরে রানের গতি কমে যায়। শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৪০ রান তোলার পর ৪৮তম ওভারের পর থেকেই শুরু হয় ধস।

আতাপাত্তু পুরো ম্যাচেই ছিলেন প্রভাবশালী। ৪ উইকেটের মধ্যে শেষ ওভারের ৩ উইকেটই আসে তার হাত ধরে। এর আগে ব্যাট হাতে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন। তার সঙ্গে হাসিনি পেরেরা খেলেন দুর্দান্ত ৫৩ রান — যা ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি।

হাসিনি ও আতাপাত্তু দুজনেই এই ম্যাচে মাইলফলক স্পর্শ করেন — আতাপাত্তু ৪০০০ ওয়ানডে রান এবং হাসিনি ১০০০ রানে পৌঁছান। হাসিনি পেরেরা ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের পক্ষে স্বর্না আখতার ছিলেন সেরা বোলার, ৩ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে। তবে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ছিল হতাশাজনক

আইএইচএস/এমকেআর

Read Entire Article