ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে : আমিনুল হক

4 hours ago 4

রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় বসে ষড়যন্ত্র করছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা—এমন অভিযোগ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে  সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কালশীতে ঢাকা মহানগর উত্তরের ক্যান্টনমেন্ট থানার ৩১ দফার ২৬তম সমাপনী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশে গত ছয় মাসে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে  স্বৈরাচারের দোসররা এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে বসে আছে। তারা ওই প্রতিষ্ঠানে বসে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। 

এ সময় ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে সবাইকে দৃঢ় হাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার লক্ষ্যে ও দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। 

আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে সংবিধান থেকে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করেছিল। নির্বাচনব্যবস্থাকে এমন অবস্থা করছিল আওয়ামি লীগ কর্মীরাও ভোট দিতে গিয়ে দেখত তাদের ভোট অন্য কেউ প্রয়োগ করেছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখেছিল তারা ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরলস পরিশ্রমে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে মামলা হামলা ও নির্যাতন নিপীড়ন উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীরা
গত জুলাই আগস্টে ১ দফার দাবিতে  গণ-আন্দোলনে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়। 

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে আস্থা রেখেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য। তাই   দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার করবে। 

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলাকারী  চাঁদাবাজি দখলদারি ও লুটতরাজকে প্রশ্রয় দেয় না এবং যারা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন তাদেরকেও বিএনপি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেয় না। 

এই বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, "আপনারা সতর্ক হয়ে যান! সাবধান হয়ে যান! বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সহিত যারা জড়িত থাকবে, তাদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স দেখাচ্ছি। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা চাঁদাবাজি লুটতরাজ দখলদারি করে, তারা সমাজের শত্রু। তারা আমাদের দলের কেউ হতে পারে না।

তিনি বলেন, ৩১ দফা রূপরেখার সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের যে চাওয়া যে প্রত্যাশা। যে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য একটি সুন্দর সমাজ গড়ার ও একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। 

ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি আহ্বায়ক অ্যাড. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান,মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন,এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক,আকতার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন,শাহআলম,মাহাবুব আলম মন্টু,মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, আব্দুস সালাম সরকার, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, আশরাফুজাহান জাহান,রেজাউর রহমান ফাহিম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, মনিরুল আলম রাহিমী, হাজী নাসির উদ্দিন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, ইবরাহিম খলিল, হান্নান ভূইয়া, তাসলিমা রিতা, মাহাবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল,সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর সদস্যসচিব কামরুজ্জামান,জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদের ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা।

এ ছাড়াও  দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার,যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম বাবুল,দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শফিকুর রহমান রতন, জিন্নাত আলী, হারুনুর রশিদ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির দেওয়ান জনি,থানা সদস্য আলমগীর হোসেন, ওয়াহিদ আলম,মো. শাহাদাত হোসেন,ভাষানটেক থানা বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, উত্তরখান থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ বকুল, হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুম,মিরপুর থানা বিএনপি আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, পল্লবী থানা বিএনপি আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান,যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, রূপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক,যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি: মজিবুর হক, আলী আহমেদ রাজু,তেজগাঁও থানা বিএনপি আহ্বায়ক ইঞ্জি:মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, আদাবর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ, গুলশান থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান কবির, আসাদুজ্জামান আসাদ,উত্তরপূর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহআলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূইয়া,যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মহিউদ্দিন তারেক,যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মোঃপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, থানা আহ্বায়ক কমিটি সদস্য আব্দুল আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল কাফরুল থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম, রূপনগর থানার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, খিলক্ষেত থানা ৪৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন,মোহাম্মদপুর ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Read Entire Article