৬৫ হাজার ৫০০-এর বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ এবং ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ কোটার মাধ্যমে শিক্ষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। একই সঙ্গে সংগীত ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দিয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ একটি পরিকল্পিত ধর্মবিমুখ নীতির বহিঃপ্রকাশ। এটি কার স্বার্থে, কার উদ্দেশে এবং কীসের ভিত্তিতে করা হচ্ছে- তা জাতি জানতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে মৌলিক শিক্ষায় ভয়াবহ ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষানীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী। ইসলাম ধর্মে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত বাধ্যতামূলক করা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয় ধ্বংসের সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র।
আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, গান শেখানোর পরিবর্তে শিশুদের নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে আলাদা ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ সময়ের দাবি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চারিত্রিক উন্নয়ন, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাই অপরিহার্য।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে অধর্মের পথে পরিচালনা করার এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া প্রতিটি দেশপ্রেমিক ও ঈমানদার মানুষের কর্তব্য।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তৃতীয় লিঙ্গ কোটার নামে শিক্ষাব্যবস্থায় সমকামিতার মতো এজেন্ডা প্রবেশ করানো হচ্ছে, যা সমাজে নতুন বিভাজন ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।
মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের স্বার্থে অবিলম্বে এ প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় ইসলামী ঐক্যজোট রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
আরএএস/এএমএ/জিকেএস