আগামী সংসদ নির্বাচনে সংসদের উচ্চকক্ষ (প্রস্তাবিত) ও নিম্ন কক্ষে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব চেয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪, জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভা উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আলোচনা সভার শুরুতেই জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ, আহতসহ বিগত সরকারের আমলে গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
- গুমের শিকার পারভেজের কন্যার বক্তব্য শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান
এই রক্তস্রোত যেন বৃথা না যায়, ঐক্য বজায় রাখতে হবে
জুলাই অভ্যুত্থানে সাভারে শহীদ হওয়া ইয়ামিনের বাবা মহিউদ্দিন বলেন, শান্তির স্বার্থে শুধু সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে শহীদ পরিবার (জুলাই অভ্যুত্থান) থেকে সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে ১০ জন প্রতিনিধি মনোনয়নের আশা করেন তিনি।
মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শহীদ পরিবার থেকে অংশীদারত্ব রাখতে হবে। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বলেন, ‘আবু সাঈদ যদি বুক পেতে না দাঁড়াতো, দেশের পরিস্থিতি (পরিবর্তন) এত সহজ হয়ে আসতো না । আবু সাঈদ গুলির সামনে বুক পাতিয়ে সব পেশাজীবী, দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সাহস জুগিয়েছিল।’
কেএইচ/এসএনআর/জেআইএম