সকালে এই জুস খেলে শরীরে ম্যাজিকের মতো পরিবর্তন আসবে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে ডায়াটেশিয়ানদের মুখে একটি পানীয়র নাম শোনা যায় তা হলো এবিসি জুস, যা পেট থেকে ত্বক সব কিছুর খেয়াল রাখে। তবে এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, এ জুস কীভাবে তৈরি করা হয়?
এবিসি জুস মূলত—আপেল, বিটরুট ও গাজরকে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে তৈরি করা হয়। রোজ এক গ্লাস করে এই এবিসি জুস খেলে শরীরের নানাবিদ উপকার হবে। বোল্ড স্কাইয়ের একটা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
এবিসি জুস নিয়মিত খেলে যেসব উপকার পারেন চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকও তার উজ্জ্বলতা হারায়। তার উপরে আছে ব্রণ, দাগছোপের মতো ত্বকের সমস্যা। তবে এ সব সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন এবিসি জুসের মাধ্যমে। যেখানে রয়েছে- ভিটামিন সিয়ের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বকের টিস্যুকে মেরামত করে। সেই সঙ্গে বিটরুটে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তাই ত্বকে আসে গোলাপি আভা। এবিসি জুস খেলে মসৃণ ও নিখুঁত ত্বক পাবেন।
এনার্জি বাড়ায়
অফিসে বসে ঘুমে ঢুলতে থাকেন? কাজ করার এনার্জি পাচ্ছেন না? এ ক্ষেত্রে এবিসি জুস ন্যাচারাল এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে। শারীরিক ক্লান্তি, দুর্বলতা কাটাতে এবিসি জুস দুর্দান্ত কাজ করে। জিমে যাওয়ার আগে কিংবা ব্রেকফাস্টের সময় এবিসি জুস খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
এখন সবাই স্বাস্থ্য সচেতন। নিজের বাড়তে ওজন কে না ঝেড়ে ফেলতে চায়। সে ক্ষেত্রে এবিসি জুস ওষুধের মতো কাজ করবে। কারণ এই পানীয়তে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। তা ছাড়া এতে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে এবং পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখে।
হার্টের যত্ন নেয়
এবিসি জুস শুধু যে ত্বকের যত্ন বা ওজন কমায়, তা নয়। নিয়মিত এবিসি জুস খেলে হার্টেও ভালো থাকে। এই পানীয় ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। হার্ট অ্যাটাক, ব্লকেজ, স্ট্রোকের মতো একাধিক হৃদজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় এবিসি জুস।
প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয়
ওজন কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে অনেকেই ডিটক্স ওয়াটার পান করেন। ডিটক্স ওয়াটারের বদলে এবিসি জুসও খেতে পারেন। এটি লিভার থেকে টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ, এবিসি জুস খেলেই এড়াতে পারবেন একাধিক রোগ।