সনদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের ওপরেই বর্তাবে

1 hour ago 4

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত বিষয়ের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সেক্ষেত্রে সব দায়-দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তাবে।

এ বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানা তিনি।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাব তুলে ধরে ড. মোশাররফ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ প্রায় এক বছর যাবৎ আলোচনার ভিত্তিতে কতিপয় নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত জুলাই জাতীয় সনদ বিগত ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয় এবং দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ জুলাই জাতীয় সনদের বাইরে কোনো কোনো বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার প্রসঙ্গে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তা বিভ্রান্তিকর এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত আগ্রাহ্য করার সামিল।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য কমিশন সরকারকে সুপারিশের করার পর সরকার আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সেটা সরকার যদি আলোচনার জন্য আহ্বান জানায়, সেক্ষেত্রে আলোচনার সুযোগ থাকতে পারে। সেরকম কোনো প্রস্তাব তো আমাদের দেওয়া হয়নি।

ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর অনমনীয় অবস্থা কি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে? এই রাজনৈতিক টানাপোড়নের কারণে গত কয়েকদিন ধরে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। গাড়িতে আগুন দেওয়া হচ্ছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী যারা আন্দোলন করছে, তারা কি এই সুযোগটা নিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোশাররফ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি না—এটার সুযোগ এখানে কেউ নিচ্ছে। এই নির্বাচনকে নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, নানাভাবে তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এটা সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ের কারণে হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/ইএ/জেআইএম

Read Entire Article