যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে সুপার টাইফুন রাগাসা। মঙ্গলবার সুপার টাইফুন আঘাত হানার আগেই প্রস্তুতি হিসেবে সব স্কুল বন্ধ ও শত শত ফ্লাইট বাতিল করেছে হংকং। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড়গুলোর একটি হতে পারে। খবর এএফপির।
শক্তিশালী এই ঘুর্ণিঝড় জীবন ও সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করায় দক্ষিণ চীনের অন্তত ১০টি শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাছাকাছি প্রযুক্তি নগরী শেনজেন থেকে অন্তত ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রাগাসা এরই মধ্যে উত্তর ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে গেছে, ঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং ভূমিধসে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। হংকংয়ের আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
হংকংয়ের ৭৫ লাখ বাসিন্দা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় প্রস্তুত রয়েছে। শহরের বিমানবন্দর খোলা থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত বড় ধরনের ফ্লাইট বিপর্যয়ের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাথে প্যাসিফিকের পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, তারা তৃতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করবে এবং এরপরেই বেশিরভাগ ব্যবসা ও গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা। বলা হচ্ছে, চলতি বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন এটি। ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পর ওই অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিকে সম্ভাব্য ‘বিপর্যয়’ বলে বর্ণনা করেছে দেশটির আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায় ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় কাগায়ান প্রদেশের পানুইটান দ্বীপের স্থলভাগে আঘাত হানে সুপার টাইফুন রাগাসা। ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বা ১৪৩ মাইল বেগে টাইফুনটি দক্ষিণ চীনের পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, রাগাসা ‘জীবন-হুমকিপূর্ণ ঝোড়ো হাওয়ার ঝুঁকি’ নিয়ে আসছে, যার উচ্চতা ৩ মিটার বা ১০ ফুট পর্যন্ত ছাড়িয়ে যাবে। ব্যাপক বন্যা, ভূমিধস এবং ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
টিটিএন