অনেক সবজি ফসলে ব্যাক্টেরিয়াজনিত ঢলে পড়া রোগ দেখা দেয়। এ রোগের আক্রমণে প্রথমে গাছের ওপরের দিকের কিছু পাতা নেতিয়ে পড়ে, দু’একদিনের মধ্যে পুরো গাছ ঢলে পড়ে ও মারা যায়। তাই এই রোগ হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন-
ঢলে পড়া ছত্রাক রোগ
আক্রান্ত ফসল
কুমড়াজাতীয় ফসল, যেমন- শসা, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা
আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলা। রোগমুক্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা। প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম প্রোভেক্স বা ভিটাভেক্স-২০০ দ্বারা বীজ শোধন করা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম কার্বেন্ডাজিমের এগবেন জাতীয় ছত্রাকনাশক গাছের গোড়ায় ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়।
ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট বা ঢলে পড়া রোগ
আক্রান্ত ফসল
টমেটো, বেগুন, আলু, কাঁচা মরিচ ইত্যাদি।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা
রোগাক্রান্ত গাছ দেখামাত্র তুলে ধ্বংস করা। শস্য পর্যায়ক্রম করা, যেমন- ভুট্টা, সরিষা, গম। রোগ সহনশীল জাত চাষ করা। পরিমিত সেচ প্রদান। এ রোগ ধরে গেলে সেচ বন্ধ করা। বীজ ও চারা শোধন করা। এ ক্ষেত্রে স্ট্রেপ্টোসাইক্লিন বা স্ট্রেপ্টোমাইসিন বা প্লান্টোমাইসিন ১ গ্রাম ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করা যেতে পারে।
হেক্টর প্রতি ৫ টন অর্ধপচা মুরগির বিষ্ঠা লাগানোর কমপক্ষে ২১ দিন আগে জমিতে প্রয়োগ করে মিশিয়ে দেওয়া এবং মাটির সঙ্গে ভালোভাবে পচাতে হবে। সরিষার খৈল ৫০০ কেজি বা হেক্টর হারে জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। কার্বোফুরানের জেনেফুরান ৫ জি নামক কৃমিনাশক ২৫ কেজি বা হেক্টর হারে চারা লাগানোর সময় অথবা জমির শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করলে টমেটোর ঢলে পড়া রোগ এবং শিকড়ে গিঁট কৃমি বা রুট নট নেমাটোড স্বার্থকভাবে দমন করা যায়।
এসইউ/জেআইএম